ওদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি ঘটছে। থানার কার্যক্রম ঢিমে তালে চলার কারণে সামাজিক অপরাধও বাড়ছে। তবে সেনাবাহিনী সমাজে সার্বিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে সহযোগিতা করে চলেছে। রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় প্রতিদিনই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই হত্যা, লুট ও হামলার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে অনেক সরঞ্জাম।
এই পরিস্থিতিতে মাঠে নেই টহল পুলিশ। থানার পরিবেশ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এ অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা মাঠে নেমে পুরোদমে আগের মতো কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। সারা দেশে থানাগুলো থেকে কত অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জাম লুট হয়েছে, তা এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে তালিকাভুক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে তার বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, থানা-ফাঁড়িতে হামলা করে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে আগামী দিনে নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হবে। এসব অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে থানা থেকে লুট হওয়া অনেক অস্ত্র বিক্রি হওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে।
ওদিকে দেশের শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও চাঁদাবাজি রোধে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সারা দেশে কিছু দুষ্কৃতকারী তাণ্ডব চালাচ্ছে। তাদের রুখতে না পারলে পরিস্থিতি আরো কঠিন হয়ে যাবে।
সমাজ বা দেশে যদি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে অপরাধ বেড়ে যায়। জনজীবনের শান্তি বিঘ্নিত হয়। আমাদের প্রত্যাশা, থানাগুলো শিগগিরই পুরোপুরিভাবে সক্রিয় হবে। ঢিমে তালে নয়, কার্যক্রম চলবে আগের মতোই স্বাভাবিকভাবে।