শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়িয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রত্যাশা ছিল, নতুন করে ছুটি না বাড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, করোনার সংক্রমণ কমলে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। সেই শিগগির দেড় মাস পর হওয়া কতটা যৌক্তিক, সেই প্রশ্নও না উঠে পারে না। ইতিমধ্যে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খোলা মাঠে প্রতীকী ক্লাস নেওয়া শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা এ বার্তাই দিতে চান যে বিশ্ববিদ্যালয় আর এক দিনও বন্ধ রাখা ঠিক নয়।
দেড় বছর বন্ধ থাকার পর যখন সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, তখন টিকা পাওয়ার এ চিত্র হতাশাজনক। টিকার সঙ্গে শিক্ষার সরাসরি সম্পর্ক নেই। কিন্তু করোনার হাত থেকে রক্ষার জন্য টিকাকেই একমাত্র প্রতিষেধক ভাবা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৬ বছরের ঊর্ধ্ব সব শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও টিকা পাওয়া নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিলেও কলেজ ও বিদ্যালয় সম্পর্কে কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, চীন থেকে সাত কোটি টিকা আসবে। সে ক্ষেত্রে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত একটি রূপরেখা ঘোষণা করা, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ার পরও িটকা পাওয়ার অনিশ্চয়তার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের আর অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা যাবে না।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন