স্বাভাবিকভাবেই সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, বিনিয়োগ থমকে আছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ অনেক কিছু করার আছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায় (এসএমই) থেকে তৃণমূল পর্যায়ে কিভাবে আস্থার জায়গা তৈরি করা যায় এবং মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে পরিবারগুলোকে কিভাবে রক্ষা করা যায়, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি দেশের মানুষ।
শিল্প, ব্যবসা, বিনিয়োগ—সব কিছুই যেন তার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। এফডিআই আসছে না। পোর্টফোলিও বিনিয়োগ খুবই কম। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা আছে।
নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার দুর্বলতা আছে। বিজনেস এনভায়রনমেন্ট বা ডুয়িং বিজনেস—ব্যবসা করার যে সুবিধা সন্তোষজনক নয়। আরেকটি দুর্বলতা, আমাদের হিউম্যান ক্যাপিটাল কম। হিউম্যান ক্যাপিটাল ও ইনোভেশনে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। অথচ বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সময় পার করছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখন তরুণ জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র।
এ দেশের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বড় সুযোগ। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে বহুদূর এগিয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সুযোগ কাজে লাগানো না গেলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ‘ডেমোগ্রাফিক বার্ডেন’ হয়ে যাবে।
আমাদের প্রত্যাশা, দেশে ব্যবসার পরিবেশ সুন্দর হবে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।