English

27 C
Dhaka
রবিবার, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
- Advertisement -

কার্যকর ব্যবস্থা নিন: আগুনের ঝুঁকিতে বিপণিবিতান

- Advertisements -
২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলী এলাকায় রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল ১২৪ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার বনেদি এলাকা চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। গত বছর এপ্রিলে আগুন লাগে রাজধানীর বঙ্গবাজারে। পুড়ে যায় কয়েক হাজার ব্যবসায়ীর স্বপ্ন।
২০১৯ সালে মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। গত বছর ১৫ এপ্রিল শনিবার রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মধ্যবর্তী সময়েও আরো অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বহুতল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ফায়ার সার্ভিস, কিন্তু তাতে কার্যকর কোনো ফল কি পাওয়া গেছে? পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, পরিত্যক্ত মার্কেটে চুটিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে।
খবরে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীন গুলশান উত্তর কাঁচা মার্কেট, গুলশান দক্ষিণ পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা, রায়েরবাজার মার্কেট, কারওয়ান বাজার ১ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার কাঁচা মার্কেট (কিচেন মার্কেট), কারওয়ান বাজার কাঁচামালের আড়ত মার্কেট ঝুঁকি বিবেচনায় ‘পরিত্যক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকায় আছে খিলগাঁও তালতলা সুপার মার্কেট, গুলশান উত্তর পাকা মার্কেট, গাবতলীর প্রান্তিক সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল মিলনায়তন-কাম-সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর রিং রোড টিনশেড মার্কেট, মোহাম্মদপুর রিং রোড পাকা মার্কেট, কারওয়ান বাজার মুরগি শেড, কারওয়ান বাজার মৎস্য আড়ত, কারওয়ান বাজার কর্মকার শেড, কারওয়ান বাজার কাঁচা মার্কেটের চারপাশের মার্কেট এবং কলমিলতা মার্কেট।
এ ছাড়া পরিকল্পিতভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়নি, সেই সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থাও নেই। ফলে বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে ব্যবসায়ী ও কর্মীদের পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছে শত শত কোটি টাকার মজুদ পণ্য। আগুনের ঝুঁকিতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের শতাধিক মার্কেট। বেশ কয়েকটি মার্কেটকে বিগত সময়ে জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জরিমানাসহ সতর্কও করা হয়, কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। মার্কেট কর্তৃপক্ষ নেয়নি কার্যকর পদক্ষেপ।

খুলনা ফায়ার সার্ভিসের তথ্য নিয়ে প্রকাশিত আরেক খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিঝুঁকিতে ২০ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। বেশির ভাগ বাণিজ্যিক কেন্দ্রের স্থাপনা জরাজীর্ণ, প্রবেশের রাস্তা সরু।

বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগে আমাদের ভেবে দেখতে হবে, বাণিজ্যের কাছে জীবন যেন মূল্যহীন হয়ে না পড়ে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সব বাণিজ্যিক ভবন নতুন করে নির্মাণ বা মেরামতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন