আমাদের গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই কিশোর দল নিয়ে খবর আসে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিশোরদের একটি অংশের বেপরোয়া আচরণ এখন পাড়া-মহল্লায় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অংশটি দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। সাধারণভাবে তাদের পরিচিতি ‘কিশোর গ্যাং’।
বিশেষজ্ঞরা একই সঙ্গে এটাও বলছেন যে আগের অনুশাসনগুলো সমাজে কাজ করছে না। সমাজের ভেতর পরিবার, প্রতিবেশী, এলাকাভিত্তিক সংস্কৃতিচর্চা, বন্ধন—এগুলো নষ্ট হয়ে ছন্দঃপতন ঘটছে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলা একেবারেই নেই। এসব কারণে কিশোর-তরুণরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। যেমন—কুমিল্লা শহরের কিশোর দল সম্পর্কে বলতে গিয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ওসি বলেছেন, সামাজিক অবক্ষয়, মাদক ও মোবাইলে আসক্তি এবং সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ায় এসব কিশোর বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বা আগ্রহ নেই। পরিবার থেকেও শিশু-কিশোরকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয় না। এ কারণে তারা সহিংস অপরাধে জড়াচ্ছে।
সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, সন্তানের শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের প্রতি অভিভাবকদের যতটা মনোযোগ দেওয়া দরকার, তা প্রায়ই দেওয়া হয় না।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী? মুক্তির উপায় কী? অপরাধ ও সমাজ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিবার ও সামাজিক পর্যায়ে সঠিক পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ কিশোর অপরাধ কমাতে অনেক সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকেও কঠোর হতে হবে।