গত দুই বছরে কিশোর অপরাধীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। একই সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের হার বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। শুধু সংখ্যাগত দিক থেকে নয়, বরং বদলে গেছে তাদের অপরাধের ধরন, প্রকৃতিও।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাদক সহজলভ্য হওয়ায় কিশোররা ক্রমেই বেশি করে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
সারা দেশেই সাধারণ মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে কিশোর গ্যাং। খুন, ডাকাতি থেকে এমন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে এরা জড়িত নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, মাদক ব্যবসার স্পট পরিচালনাসহ খুচরা পর্যায়ে মাদক বিক্রিতে ব্যাপকহারে শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আরো খারাপ বার্তাই দেয় আমাদের।
অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, রংপুর নগরীসহ জেলায় কিশোর অপরাধে জড়িতদের বেশির ভাগই মাদকাসক্ত। প্রায় একই অবস্থা অন্যান্য স্থানেও।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী মাদকদ্রব্য পরিবহন, কেনাবেচা, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, অর্থ লগ্নীকরণ, পৃষ্ঠপোষকতাসহ বিভিন্ন অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড। এত কঠোর আইন সত্ত্বেও মাদকের বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না।
মাদকের ভয়ংকর থাবা থেকে দেশ বাঁচাতে মাদকের সহজলভ্যতা দূর করতে হবে। দেশে মাদক প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মাদকসংক্রান্ত মামলাগুলোর বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।