মূলধারা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। দুর্গম এসব চরের মানুষ অসুখবিসুখে প্রায় কোনো চিকিৎসাই পায় না, বিশেষ করে প্রসূতি মা ও নবজাত শিশুরা জরুরি মুহূর্তেও কোনো চিকিৎসা পায় না। আধুনিক চিকিৎসাসেবা নাগালের মধ্যে না থাকায় চরাঞ্চলের এসব মানুষ হাতুড়ে চিকিৎসক কিংবা নানা অপচিকিৎসকের কাছে যায়, যা তাদের জন্য শারীরিক ও আর্থিক উভয়ভাবেই আরো ক্ষতির কারণ হয়।
দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি করতে হলে দুর্গম গ্রামাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অতিদরিদ্র মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক একটি অত্যন্ত কার্যকর উদ্যোগ। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এসব ক্লিনিক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপকারী প্রমাণিতও হয়েছে।
এখন এই সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের, বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আরো কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। আমরা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। লক্ষ্য এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। আশা করব পটুয়াখালীর চরাঞ্চলগুলোতে দ্রুততম সময়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।