প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একটি খাল দখল করে বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, এটি বহু বছরের পুরনো সরকারি খাল। একসময় খালটি প্রবহমান ছিল। বর্ষায় নৌকা চলাচল করত।
জানা যায়, কুমিল্লায় দুই একর ৩৭ শতকের ‘হাতিপুকুর’ ভরাটের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। সম্প্রতি পুকুরের উত্তর অংশের ১২ শতকের বেশি স্থান ভরাট করা হয়েছে। এর আগেও অনুরূপভাবে ভরাট করে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ঐতিহ্যবাহী এই পুকুরটি অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
স্থানীয়রা এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। একইভাবে মুরাদনগরে খাল দখলের বিরুদ্ধেও স্থানীয়রা প্রতিবাদ করছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার খাল দখল ও স্থাপনা নির্মাণের প্রতিকার চেয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে আলাদা দুটি লিখিত অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী।
নদী, খাল, পুকুর ও জলাশয় আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর দখল, দূষণ ও ভরাটের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে।
এসব বন্ধে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেসব আইনের প্রয়োগ করবে কে? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ক্ষেত্রে এমন নির্বিকার কেন? আমরা চাই জলাধার সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হোক। কুমিল্লার হাতিপুকুর ও মুরাদনগরের খাল পুনরুদ্ধার করে সেগুলো সংস্কার করা হোক।