English

25 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

অপচয় বন্ধ হোক: নষ্ট হচ্ছে হাজিরা যন্ত্র

- Advertisements -
সরকারি কেনাকাটায় এখনো প্রয়োজনের বিষয়টি সর্বস্তরে সঠিকভাবে বিবেচিত হচ্ছে না। কোনোভাবে যন্ত্রপাতি কিনতে পারলেই যেন সবার সব দায়িত্ব শেষ। সেই যন্ত্রের প্রয়োজন আছে কি না, যন্ত্র ব্যবহারে দক্ষতা আছে কি না, সর্বোপরি যন্ত্র ব্যবহারের উপযুক্ত পরিবেশ আছে কি না—এসব কোনোভাবেই বিবেচনা করা হয় না।প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ১৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একসঙ্গে বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয় প্রায় চার বছর আগে।
তবে সেগুলোতে ডাটাবেইস সংযোগ এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এ কারণে স্থাপনের চার বছরে এক দিনও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯টি বিদ্যালয়ে স্থাপনের পর প্রায় চার বছর পার হওয়ায় এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মেশিনগুলোর ওয়ারেন্টির মেয়াদও।
শুধু মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ১৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটেছে।
গত বছরের নভেম্বরে সহযোগী একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ১০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য কেনা বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনগুলো প্যাকেটজাত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে সহযোগী একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গাইবান্ধার প্রায় প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এখন এমন।
২০১৯-২০ অর্থবছরে জেলার এক হাজার ২৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় বায়োমেট্রিক হাজিরা যন্ত্র। তখন সচল যন্ত্রগুলোতেও ছিল না ইন্টারনেট সংযোগ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সহযোগী আরেকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, কুমিল্লার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইসগুলোর বেশির ভাগই বিকল হয়ে আছে। কিছু মেশিন সচল থাকলেও সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।
দেখা যাচ্ছে, কেনাকাটায় সরকারের বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কথা ছিল, শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি অ্যাপের মাধ্যমে এসব হাজিরা মেশিন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেই নির্দেশনার কত দূর।
অ্যাপ কি তৈরি করা হয়েছে? নির্দেশনার আগে কিংবা অ্যাপ তৈরির আগে কেন এসব ইলেকট্রনিক যন্ত্র কেনা হলো? মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষক নেতা ও কর্মকর্তাদের চাপে যন্ত্র কেনা হয়েছে।
সব সময় দেখা যায়, কিছু কর্মকর্তা কেনাকাটার ব্যাপারে খুব আগ্রহী। কিন্তু কেনাকাটার নামে এই অপচয়, সেটি তো রাষ্ট্রেরই ক্ষতি। রাষ্ট্রের এ ধরনের আর্থিক ক্ষতি যাঁরা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন