English

15 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

মাছ রপ্তানি করে কেশবপুরে এবার ৮৫০ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা

- Advertisements -

কেশবপুর, (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে মাছ রপ্তানি করে গতবছর আয় হয়েছে প্রায় ৭৫৭ কোটি টাকা। চলছি বছরে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হতে পারে বলে জানিয়েছে উপজেলা মৎস্য অফিস। এ উপজেলার ঘের ও পুকুর থেকে উৎপাদিত মাছ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। এসব মাছ রপ্তানি করে এলাকার প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মৎস্য চাষী অর্থনৈতিকভাবে বেশ স্বাবলম্বী হয়েছেন। মাছের খামারে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছের ঘের (খামার) রয়েছে। যার আয়তন প্রায় ৭ হাজার ৪৪৯ হেক্টর। এছাড়া পুকুর রয়েছে ৬ হাজার ৬৪০টি। যার আয়তন প্রায় ৬৯৮ হেক্টর। গতবছর এসব জলাশয় থেকে রুই, মৃগেল, কাতল, পাবদা, বাটা, সিলভার কার্প, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, টাকি, কৈ, শিং, বাইন, পুটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩৩ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন সাদা মাছ উৎপাদিত হয়েছিল। এছাড়া গলদা চিংড়ি ২ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন ও বাগদা চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ২৪৫ মেট্রিক টন। পাশাপাশি শুটকি দেড় মেট্রিক টন ও কুঁচিয়া (কুঁচে) শূন্য দশমিক এক মেট্রিক উৎপাদিত হয়। এ উপজেলায় সাদা মাছের চাহিদা ছিল প্রায় ৬ হাজার ১০ মেট্রিক টন। অপরদিকে ২৭ জন মাছ চাষী ৫৪ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে ২ দশমিক ২২ কোটি পোনা উৎপাদন করেছেন।

চলতি বছরে সাদা মাছ প্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, গলদা চিংড়ি ২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন, বাগদা চিংড়ি ২৮০ মেট্রিক টন ও শুটকি ৫ মেট্রিক টন উৎপাদিত হতে পারে। কেশবপুর শহরের পাইকারি মৎস্য আড়ৎ, কাটাখালি ও পাঁজিয়া আড়তে নেওয়া হয় উৎপাদিত এসব মাছ। এছাড়াও এর বাইরে যশোরের বারোবাজার, মণিরামপুর, কপালিয়া, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর, আঠারো মাইলসহ বিভিন্ন আড়তে মাছ পাইকারি বিক্রি করা হয়ে থাকে। সেখান থেকে এসব মাছ ঢাকা, কক্সবাজার, চট্রগ্রাম, সিলেট, রংপুর, বগুড়া, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও ভারতে রপ্তানি করা হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এ উপজেলায় মাছ কিনতে আসেন। অপরদিকে স্থানীয়রা পাইকারি আড়ৎ থেকে মাছ কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করেন।

কেশবপুর খুচরা মাছ বাজারের সভাপতি আতিয়ার রহমান জানান, আড়তের শ্রমিকদের মাধ্যমে মাছ বাজারজাতকরণের উপযোগী করে চাহিদা অনুযায়ী ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এছাড়া আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন প্রায় ২০০ মণ করে মাছ ভারতে পাঠানো হয়ে থাকে। কেশবপুর পাইকারি মৎস্য আড়তের সভাপতি হান্নান বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিন এখানকার পাইকারি আড়তের ২২ ব্যবসায়ীর কাছে বিভিন্ন ঘের ও পুকুরের প্রায় ২ হাজার মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আসে। প্রায় দেড় থেকে ২ কোটি টাকার মাছ প্রতিদিন বিক্রি হয়।

উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবীর জানান, এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছের ঘের ও ৬ হাজার ৬৪০টি পুকুর রয়েছে। মাছ রপ্তানি করে গতবছর আয় হয়েছে প্রায় ৭৫৭ কোটি টাকা। চলতি বছরে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হতে পারে। এ উপজেলায় মৎস্যচাষী রয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। মাছের খামারে খন্ডকালীন কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তির। এছাড়া উপজেলার ৩টি মৎস্য আড়তে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সজীব সাহা বলেন, চলতি বছরে এ উপজেলায় মাছ চাষের জন্য ঘের ও পুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের নীবিড় পর্যবেক্ষণ করায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন