গত দুদিনে খোলাবাজারে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। তবে খোলাবাজারে এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দামের তুলনায় অনেক বেশি দামে ডলার কেনা-বেচা চলছে। ঢাকার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ ঘুরে এবং ডলার কেনা-বেচার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ গত সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এই দাম নির্ধারণের পরের দিনই প্রথমবারের মতো খোলাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। একই সঙ্গে বাজারে ডলারের সংকটও দেখা দেয়।
এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর গত দুই দিনে খোলাবাজারে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) খোলাবাজারে ডলার ৯৭ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা এই দামে বিক্রি করলেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনছেন ৯৬ থেকে ৯৬ টাকা ৫৯ পয়সায়।
ডলারের দামের বিষয়ে পল্টনের ক্যাপিটাল এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। দুদিন আগে প্রতি ডলারের দাম ১০১ টাকা হয়েছিল। আজ আমরা ডলার ৯৬ থেকে ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা করে কিনেছি। বিক্রি করেছি ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯৭ টাকা ৬০ পয়সায়।
মতিঝিলের পাইওনিয়ার মানি চেঞ্জারের কর্মী রোকন জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ডলার বিক্রি করেছি ৯৮ টাকা দরে। কিনেছি ৯৭ থেকে ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা করে।
দিলকুশার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জের সামনে ঘুরে ডলার কেনা-বেচা করা মো. সোহেল নামের একজন বলেন, গত মঙ্গলবার প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। দুদিন ধরে ডলারের দাম কিছুটা কম। আজ প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ৯৮ টাকায় বিক্রি করেছি। আমরা কিনেছি ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯৭ টাকা করে।
তিনি বলেন, দাম বাড়লেও এখনও খুব বেশি ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। ভাগ্য ভালো হলে ৫০০-৬০০ ডলার কেনাবেচা করতে পারছি। বাজারে ডলারের এই পরিস্থিতি কতদিন থাকবে বলা মুশকিল।
এদিকে গত সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে। তার আগে ৯ মে ডলারের বিনিময়মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা, ২৩ মার্চ আরও ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা এবং ২৭ এপ্রিল ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।