আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে ১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ০৫ (পাঁচ) টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বর আজ বুধবার স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং, ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রী এ বিষয়ক একটি সীলমোহর ব্যবহার করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা উপলক্ষে মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন।
মন্ত্রী বিবৃতিতে বাঙালির জন্য অসম্প্রদায়িক এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৪ বছরের সংগ্রামের ঐতিহাসিক ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি দায়ের করা মামলাটির পূর্ণ নাম ছিল ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান গং মামলা’। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবেই বেশি পরিচিত। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কথিত ষড়যন্ত্রটি শুরু হয়েছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিবাদে রাজপথের অগ্নিঝড়া আন্দোলন সংগামে ছাত্রলীগের বীর সেনানী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সাধারণ জনতা। প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খানের সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনের ফলে সরকার প্রধান আইয়ুব খান সমগ্র পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করতে বাধ্য হয়। আইয়ুব খান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল আসামীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের পতন ঘটে। এই মামলা এবং মামলা থেকে সৃষ্ট গণ-আন্দোলনকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে প্রেরণাদানকারী অন্যতম প্রধান ঘটনা।
এ বিষয়ক স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম এবং ডেটা কার্ড আজ বুধবার থেকে ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলো থেকে সংগ্রহ করা যাবে।