তীব্র গরমে নাজেহাল দেশের মানুষ। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি। গরমে এসি ও ফ্যানের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহারও। ফলে বেড়েছে লোডশেডিং। রাজধানীতে কিছু এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য লোডশেডিং হলেও রাজধানীর বাইরে জেলা শহর ও গ্রামে প্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।
লোডশেডিংয়ের কারণে সাহরি করতে গিয়ে রোজাদাররা পড়ছেন বিপাকে। ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় রাতের ঘুম নষ্ট হচ্ছে মানুষের। ব্যাঘাত ঘটছে সেচ কার্যক্রমও। যদিও ১৩ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৩০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলেও সমানতালে বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভাগ অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে ১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের চেষ্টা করছে। গত দু-তিন দিন ধরে দেশে মোট বিদ্যুতের চাহিদা ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াটে ওঠানামা করছে। আর বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের কিছুটা বেশি। ফলে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে গড়ে ৭০০ থেকে ১ হাজার মেগাওয়াটের বেশি।
সক্ষমতা থাকার পরও চাহিদা অনুসারে উৎপাদিত না হওয়ার জন্য জ্বালানি সংকট, কেন্দ্র মেরামত ও কেন্দ্র সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করেন তারা।
পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ পরিদপ্তর) মো. শামীম হাসান বলেন, হঠাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ও ফ্যানের ব্যবহার বেড়ে গেছে। বৃষ্টি হলে বা তাপমাত্রা কমে গেলে বিদ্যুতের বাড়তি চাপও কমে যাবে। বিদ্যুতের উৎপাদন ১৬ হাজার মেগাওয়াটে নেওয়ার জন্য পিডিবি চেষ্টা করছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে দেশে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। তবে, তাপমাত্রা কমে এলে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।