মার্কিন ডলারের বিপরীতে অব্যাহতভাবে কমছে টাকার মান। আজ বৃহস্পতিবার আরো ৫০ পয়সা দর হারিয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকা। এদিন আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলারের জন্য খরচ করতে হয়েছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের দিন বুধবার তা ছিল ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাত কোটি ডলার বিক্রি করেছে। দাম নির্ধারিত হয়েছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এটাই আজকের আন্তঃব্যাংক দর।
গত এক মাসের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিকে খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে আরো চড়া দামে। গত সপ্তাহের শেষে খোলাবাজারে ডলারের দাম ছিল ৯৮ টাকা। এই সপ্তাহের শুরুতে তা ১০০ টাকার ওপরে ওঠে। গত বুধবার তা ১০২ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত উঠে যায়। অর্থাৎ চার দিনের ব্যবধানে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় পাঁচ টাকা।
সাধারণত খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বাড়লে মুদ্রা বিনিময়ের প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক থেকে ডলার কিনে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে থাকে। কিন্তু এখন ব্যাংকেও ডলারের সংকট। তাতে অনেক ব্যাংক এখন উল্টো খোলাবাজারে ডলার খুঁজছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাস আয় বা রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় দেশে ডলারের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। এ জন্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডলারের দাম। এতে রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবু প্রতিনিয়ত দামও বাড়াচ্ছে। এর পরও সংকট কাটছে না।