রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ক্রমেই মন্দার দিকে ধাবিত হচ্ছে ইউরোপ। এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি এক দশকের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। সেই সঙ্গে গ্যাসের উচ্চমূল্যে নাকাল ইউরোজোনের দেশগুলো।
এমতাবস্থায় জার্মানি ও ফ্রান্সের দুর্বল অর্থনৈতিক ডাটা মন্দার শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করতে যাচ্ছে ইউরোজোনে। ইতোমধ্যে এর প্রভাব মুদ্রাবাজারেও পড়তে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার ডলারের বিপরীতে ইউরোজোনের একক মুদ্রা ‘ইউরো’র দাম ২০ বছরের মধ্যে রেকর্ড পতন হয়েছে। এদিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম কমে হয় ০.৯৯০১।
এসঅ্যান্ডপি প্রকাশিত শিল্পোৎপাদন ও সেবা খাতের কর্মকাণ্ড পরিমাপক পিএমআই সূচকে দেখা যায়, ইউরোপের পাওয়ার হাউস খ্যাত জার্মানির অর্থনীতি আগস্টে নিম্নমুখী। উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার বৃদ্ধির কারণে দেশটির অর্থনীতি মন্দার দিকে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি আরেক বড় অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের পিএমআই সূচকেও দেখা যায়, আগস্টে দেশটির অর্থনীতি ১৮ মাসের মধ্যে প্রথম সংকোচিত হয়েছে।
সিএমসি মার্কেটসের প্রধান বিশ্লেষক মিখায়েল হিউসন বলেন, “পিএমই ইউরোপের হতাশার চিত্র তুলে ধরছে। খুব শিগগিরই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হবে, এটা আমি মনে করছি না। বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য এটিই বড় কারণ। এ যুদ্ধের কারণে জ্বালানির দাম বাড়ছে, যার ফলে দরপতন হচ্ছে ইউরোর।”
ইইউ বেঞ্চমার্ক গ্যাসের দাম এক মাসের ব্যবধানে হয়েছে দ্বিগুণ। এমনকি এ দাম গত এক দশকের গড় দামের ১৪ গুণ বেশি। আমন্দি ইনস্টিটিউটের প্রধান মনিকা ডেফেন্ড বলেন, “শোনা যাচ্ছে আগামী মাসে ফেডারেল রিজার্ভ আবারও সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও নীতি সুদহার বাড়াবে। ডলারের বিপরীতে ইউরোর মূল্য ডিসেম্বরে আরও কমে হবে ৯৬।”