সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে কারাদণ্ড পাওয়ার পর প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমা পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ১৪ জন দেশে ফিরেছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তারা দেশে ফিরেন।
তাদের ২ জন ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ১২ জন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে আসেন। স্বজনদের পাশাপাশি বিমানবন্দরে তাদের অর্ভ্যথনা জানাতে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দেশে ফেরা প্রবাসীরা। তারা বিদেশে কারাবন্দি থাকার অভিজ্ঞতার কথা জানান।
এর আগে, বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় তাদের ফেরার তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, শারজাহ ও আজমানের বিভিন্ন এলাকার সড়কে বিক্ষোভের সময় ৫৭ বাংলাদেশিকে আটক করে আমিরাতের পুলিশ। দুই দিন পর দাঙ্গা, যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং সম্পদহানীর মতো অভিযোগে তাদের তিন জনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১১ বছর এবং ৫৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত। এরপর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সুবিধা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার ঘোষণা দেয় আমিরাত সরকার।
পরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস দণ্ডিত প্রবাসীদের মুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ নেন। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের আদেশে ৫৭ বাংলাদেশির সাজা স্থগিত করা হয়।