নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১০ জানুয়ারি ২০২১ আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করা হয়েছে।করোনা সংক্রমণ রোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠানটি আয়জন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এসডিসি দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে নিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে দূতাবাসের নবনির্মিত বিজয়-৭১ মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত হন। দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি দ্বিভাষীক(তুর্কী এবং ইংলিশ)লিফলেট উপস্থিত সকলের মাঝে বিতরণ করা হয়। এসময় ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি অপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রেরিত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এসডিসি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান মোঃ রইস হোসেন সরোয়ার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম সচিব ও দূতালয় উপ প্রধান সবুজ আহমেদ।অতঃপর বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র”চিরঞ্জীব মুজিব” এবং “হাসিনাঃএ ডটার’স টেল”প্রদর্শিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অসামান্য নেতৃত্ব গুণ এবং তাঁর অতুলয়নীয় অবদানের কথা গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর “সোনার বাংলা”গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎস্বর্গী শহীদদের স্মরণ করেন।তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের কথা বর্ণনাপূর্বক ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ,বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তান কারাগার হতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্ত্নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।তিনি উল্লেখ করেন,বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনে এবং তাঁর স্বপ্ন পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে দীপ্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়া দ্রুত অগ্রসরমান একটি অর্থনৈতিক শক্তি।চলমান অর্থনৈতিক, সামাজিক,শিক্ষা,স্বাস্থ্যপ্রভৃতি খাতের উন্নয়ন আজ চোকজে পড়ার মতো যা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে রোল মডেলে পরিণত করেছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অচিরেই এ বাংলাদেশ ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান লক্ষমাত্রা অর্জন করবে বলে রাষ্ট্রদূত দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং এ অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।একইসাথে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী”মুজিববর্ষ”উদযাপনের গুরুত্ব অনুধাবনে সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।
পরিশেষে,দিবসটি উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং উপস্থিত সকলকে চাচক্রের মাধ্যমে আপ্যায়িত করা হয়।