মনিরুল ইসলাম মনি: বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মন্ট্রিল কানাডা’র আয়োজনে ৩৭তম এ সম্মেলনটি ১ সেপ্টেম্বর মন্ট্রিয়ল-এর শেরাটন লাভাল হোটেলে শুরু হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত Dr. খলিলুর রহমান।
ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন আতিকুর রহমান বলেন, এ সম্মেলনটি উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের মিলন মেলা। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ভাষাকে উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাঙালিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রচার ও প্রসার করাই ছিলো এবারের ফোবানার মূল উদ্দেশ্য।
উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সেতুবন্ধন তৈরি এবং নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা ও উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে প্রেরণা দিতে ফোবানা সম্মেলন ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করেন কমিউনিটি এই ব্যক্তিত্ব।
এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর বিশেষ সেমিনার ও প্রদর্শনী আয়োজন মুগ্ধ করেছিলো দর্শনার্থীদের। তুলে ধরা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীরা কী রূপ ভূমিকা রাখতে পারেন সে বিষয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে নিউইয়র্ক, মিশিগান, নিউজার্সি, ক্যালিফনিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ওহাইও, শিকাগোসহ নর্থ আমেরিকার অন্তত ২০টি স্টেট থেকে নেতৃবৃন্দ যোগদান করেন।
৩৮তম ফোবানা সম্মেলন হবে মিশিগানে উল্লেখ করে খালেদ বলেন, কানাডার মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের শেষদিন ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের ঘোষণা দেয়া হয়। আমি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে আগামী বছরের সম্মেলনের পতাকা গ্রহণ করি। পতাকা হস্তান্তর করেন ফোবানার নির্বাহী চেয়ারপার্সন আতিকুর রহমান, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. রফিক খান, সাবেক চেয়ারপার্সন জাকারিয়া চৌধুরী, যুগ্ম নির্বাহী সচিব কবির কিরণ এবং এবারের হোস্ট কমিটির কনভেনর দেওয়ান মনিরুজ্জামান।
সম্মেলনের শেষদিন হাজারো প্রবাসীকে আপ্লুত করে সঙ্গিত পরিবেশন করেন বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন ও গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীতপরিচালক তপন চৌধুরীর মতো গুণি জনেরা। এচাড়াও স্থানীয় শিল্পীদের সাথে নিউইয়র্ক প্রবাসী সঙ্গীত শিল্পী ও পরিচালক মোজো এবং জনপ্রিয় বাংলা লোকসংগীত শিল্পী মমতাজ নাচে-গানে মাতোয়ারা করে দিয়েছেন উপস্থিত দর্শক-স্রোতা-অতিথিদের।
সম্মেলনে ‘ফোবানার নিবেদিত প্রাণ সংগঠক রানী কবির’ স্মরণে নগদ এক হাজার ডলারের স্কলারশিপ প্রদান করা হয় নতুন প্রজন্মের মেধাবি শিক্ষার্থী ও শিল্পী মুন হাইকে। পাশাপাশি কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নগদ অর্থের পুরস্কারসহ সার্টিফিকেটও প্রদান করা হয়।