মোঃ আলাল উদ্দিন: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২খ্রিঃ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর কবি জসীমউদ্দীন হলে মঞ্চস্থ হলো বাংলা থিয়েটারের ২৩তম প্রযোজনার ৬ষ্ঠ প্রদর্শনী ওয়াহিদ বিন-সিরাজের রচনা ও নির্দেশনায় নাটক সাইরেন। জেলখানার তিন চিহ্নিত কয়েদীর পাশাপাশি একজন মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে কেন্দ্র করেই এ নাটকের ঘটনাচক্র আবর্তিত।
মুলত সাইরেন একটি জীবনমুখী নাটক। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রঘু- নিত্য রবি দাস, কোরবান আলী- সহিদ চিশতী, লিটু-এস এম আল ইমরান, জেলার – আনিসুর রহমান, কারারক্ষী -মুক্তাদিরুল ইসলাম সিফাত, রোশনীবাঈ-ডীমকুন্ডু,কোরবান তরুণ -বিজয় কুমার দাস, ডিলার (১) সাজিদ বিন সিরাজ, ডিলার (২) আফজাল হোসেন, ডেভিলঃ ওয়াহিদ বিন সিরাজ, মোহসেনা খানম- বনলতা সরকার, আমজাদ ভাই- মিঠুন হোসাইন, পরী – তিতলী হোসেন ও আতাউর মাস্টার – ওয়াহিদ বিন সিরাজ। এছাড়াও আবহসংগীতে – এস এম আল ইমরান, কোরিওগ্রাফি – বেলায়েত হোসেন, সংগীত প্রয়োগ – ইউ এন প্রিন্স অঙ্গসজ্জায় ছিলেন কাবেরী আক্তার ও জাহাঙ্গীর মন্ডল। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মিঠুন হোসাইন।
নাটকের শেষে মঞ্চে এসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, সিরাজী ই কবির খোকন, সাধারণ সম্পাদক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ফরিদপুর, অধ্যাপক রিজভী জামান সভাপতি খেয়ালী নাট্য সম্প্রদায় ফরিদপুর, আবু সুফিয়ান চৌধুরী কুশল, সাধারণ সম্পাদক, ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থা, নুসরাত তানিয়া, সাধারণ সম্পাদক মহিলা আওয়ামীলীগ, ফরিদপুর জেলা শাখা, ওয়াহিদ বিন সিরাজ তাসভী নাট্যকারও নির্দেশক বাংলা থিয়েটার ফরিদপুর,আনিসুর রহমান, সভাপতি বাংলা থিয়েটার ফরিদপুর। তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, নাটকটিতে আমরা বাস্তবজীবনের সাথে মিল খুজেঁ পেয়েছি। বক্তরা আরো বলেন জনসংখ্যার আনুপাতে নাটকে দর্শকের সংখ্যাও কম তাই শুধুমাত্র দর্শনীর বিনিময় একটি মঞ্চায়নের খরচ তুলে আনা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তাই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন, সরকারি প্রণোদনা দরকার, আর্থিক সংকট ও পৃষ্ঠপোষকতায় পেলে আরো ভালো নাটক মঞ্চস্থ করা যাবে। থিয়েটার সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন নাটক হলো আমাদের ভালোবাসা আমাদের সত্বা এটা মধ্য দিয়েই আমরা আমদের ভাবনা প্রকাশ করতে চাই এই জন্য ফরিদপুরের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা চাই। উল্লেখ্য বাংলা থিয়েটার ইতিপূর্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর দর্শকনন্দিত নাটক মঞ্চস্থ করে অনেক খ্যাতি ও সম্মাননা অর্জন করেছেন।