ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরীর এক কোটি মানুষের ২ কোটি হাতকে কাজে লাগিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করতে হবে।
বুধবার সকালে রাজধানীর ভাটারায় মাদানী এভিনিউ এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শহরকে রক্ষা করার দায়িত্ব শুধু মেয়র কিংবা সরকারের একার নয়, আমাদের সকলের। তাই নিজের পরিবারসহ শহরকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সকলকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজেদের সুস্থতার জন্যই আমাদের সকলকে “দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার” এই স্লোগানটিকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, জরিমানার পরিমাণও ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীর কল্যাণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬টি নগর সাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার” তাই করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র ভাটারায় মাদানী এভিনিউ এলাকায় মশক নিধনে চিরুনি অভিযান কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং তার উপস্থিতিতেই একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত হওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভবনের মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর মো. আতিকুল ইসলাম নগরবাসীর মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত খোলা ট্রাকে করে ডিএনসিসির ৯ নম্বর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-১১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এ. কে. এম. রহমতুল্লাহ, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।