কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ সকাল দশটায় উপজেলার টি এন্ড টি মোড়ে নিকলী পুকুরপাড় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আছমত আলী (৬০) এর বিরোদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের কারনে মানব বন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ, নিকলী পুকুরপাড় জামে মসজিদের এগারো পাড়ার সর্বস্থরের জনগন ও নিকলী উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দ। উক্ত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিকলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান , কাউসারুল আলম , নাজিউর রহমান সোহেল, সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন, মোঃ হেলিম প্রমুখ।
পুকুরপাড় জামে মসজিদের সভাপতি আসমত আলীর বিরোদ্ধে বিগত ৫ বছর ধরে মেয়াদ উর্ত্তীন কমিটির এক কোটি দুই লাখ টাকার হিসেব নিয়ে মসজিদ পঞ্চায়েতের ১১টি মহল্লার মানুষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল যা এলাকার আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রধান কারন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে জানাযায় উপজেলা সদরের এগারো হাটির সমাজ কর্তৃক পরিচালিত শতবর্ষী প্রাচিন পুকুরপার জামে মসজিদের বিশাল পুকুর ,ঈদগাহ মাঠ, বোরো ধানী কয়েক একর জমি ,মসজিদের জায়গাতে গড়েউঠা বাসট্যান্ড, সি এন জি স্ট্যান্ড,দোকানপাট এর আয়-ব্যায় সরকারী অনুধানে পরিচালিত এবতেদায়ী মাদ্রাসা পরিচালনা সহ মসজিদের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ২০১২ সালে তিন বৎসর মেয়াদে আসমত আলীকে সভাপতি করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল যার মেয়াদ ২০১৫ সালেই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিগত ৫ বছর যাবত নিয়ম ভঙ্গ করে আসমত আলী কোন প্রকার হিসাব নিকাশ না দিয়ে বরাবরই হিসাব চাহিতে যাওয়া এলাকাবাসীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে আসছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আসমত আলীর এমন কর্মকান্ডে স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া ২০১৬ সালে এলাকাবাসীর গনস্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাযের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে তৎকালীন নির্বাহী কর্মর্কতা মাহবুব আলম বেশ কয়েকবার অভিযুক্ত সভাপতিকে নোটিশ করেও সারা না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়ে পুকুরপাড় জামে মসজিদের অগ্রণী ব্যাংক নিকলী শাখার হিসাবটি জব্দ করেছিলৈন। এমত অবস্থায় ২০১৭ সালে নির্বাহী কর্মকর্তার বদলী হওয়ায় বিষয়টি ঝুলতে থাকে দীর্ঘদিন ।
২০১৮ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়া ইয়া খান যোগদনের পর আবারো অভিযোগ করা হলে তিনও বেশ কয়েকবার অভিযুক্ত সভাপতিকে নোটিশ করেন কিন্তু আছমত আলী কর্নপাত করেনি। এতে এলাবাসীর মাঝে আরো ক্ষোভের সঞ্চার হতে থাকে।
সর্বশেষ গত ১৩ জানয়ারী এলাকাবাসী বানববন্ধন করলে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দিন মুন্নার নজরে আসে । তিনি এলাকাবাসী ও আছমত আলীর সাথে আলোচনা করে মীমাংসা করতে চান কিন্তু আছমত আলী তার আগের অবস্থানেই আছেন বলে জানাযায়।
এ বিষয়ে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দিন মুন্না ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে জানান বিষটি দীর্ঘদিনের , এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্তে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।