নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উদ্ধার কাজও চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে ৬তলা ভবনের ৪তলা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ডেমরা, কাঞ্চন, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৮টি ইউনিট। আগুনের ব্যাপকতা কিছু কমায় শুক্রবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এখনও অনেক শ্রমিক ওই ভবনের ভেতরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানার শ্রমিক ও নিখোঁজের স্বজনরা।
নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই ৬তলা ভবনের ৪তলার শ্রমিকরা কেউ বের হতে পারেননি। প্রতিদিন ৪তলায় ৭০-৮০ জন শ্রমিক কাজ করতেন।
চতুর্থ তলার শ্রমিকদের ইনচার্জ মাহবুব, সুফিয়া, তাকিয়া, আমেনা, রাহিমা, রিপন, নাজমুল, মাহমুদ, ওমরিতা, তাছলিমাসহ প্রায় ৬০-৭০ জন শ্রমিকের খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা ফ্যাক্টরির সামনে ভিড় জমায় আপনজনের খোঁজে। কারখানার সমানে নিখোঁজ স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশ ভারি হয়ে ওঠে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারখানার চারতলার ভবনের আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তাছাড়া ধীরে ধীরে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়েও পড়ছে। কারণ ভবনের পঞ্চম তলায় ছিল কেমিক্যালের গোডাউন।
এদিকে শুক্রবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উদ্ধার কাজও চালায় ফায়ার সার্ভিস। ৬তলা ভবনের ৪তলা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুরো ভবনের উদ্ধার কাজ শেষে লাশের সংখ্যা আরও রাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ শাহ-আলম বলেন, মধ্যরাতে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও সকাল ৭টার দিকে আবার কারখানার ৪তলায় আগুন বাড়তে থাকে। আগুন নিয়ন্ত্রণের আগ পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ওসমান গনি বলেন, ডেমরা ফায়ার সার্ভিস অগ্নিকাণ্ডের শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সঙ্গে আরও ১৭টি ইউনিট কাজ করছে। কিন্তু ৬তলা এ ভবনটিতে পরিস্থিতি একটু জটিল মনে হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।