প্রতিদিনই ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছেন শিশু থেকে বয়স্ক নারী। আদালতে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা এবং আইনের ফাঁকফোকর ভেদ করে আসামিদের খালাস পাওয়ার অবসান চান কানাডা প্রবাসী সৈয়দ আহসান জালাল (৬০)। আজ মঙ্গলবার মোহাম্মাদপুর থানাধীন ১০ নম্বর রোডের মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির এ বাসিন্দা তাই একাই ধর্ষকের গোপনাঙ্গ কাটার নতুন আইন চেয়ে প্লেকার্ড হাতে ঢাকার সদরঘাটস্থ জজ কোর্ট অঙ্গনে দাঁড়িয়েছেন।
এদিন সকাল ১১টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত তিনি ওই প্লে-কার্ড হাতে সদরঘাটস্থ নিম্ন আদালতে সবখানেই দাঁড়িয়েছিলেন। প্লেকার্ডে লেখা ছিল, ‘ধর্ষকের যৌনাঙ্গ জনসম্মুখে কর্তনের আইন করঃ অবলা নারীদের রক্ষা কর। বর্তমানে আইনে ধর্ষণ বন্ধ হবে না।’
সব ধর্মের গভেষক দাবিদার সৈয়দ আহসান জালাল জানান, তিনি কানাডা প্রবাসী। বাংলাদেশে ধর্ষণ এত বেশি যে, কানাডায় তাকে ধর্ষক বলে গালি দেয়। লজ্জায় মুখ দেখাতে পারেন না। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিনই যারা ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছেন তারা অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের নারী, কিশোরী অথবা শিশু। আইনের ফাঁকফোকর গলে খালাস এবং আসামিরা কিছুদিন পরই জেল থেকে বের হয়ে আবার একই কাজ করছে। কোনো মামলায়ই কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি।
তিনি আরও জানান, সমাজে প্রচলিত আইনে যে সাজা রয়েছে তাতে ধর্ষণ বন্ধ হবে না। এজন্য চাই নতুন (কঠোর) আইন। প্রতিদিন ধর্ষণের খবর দেখে একজন বিবেকবান মানুষ চুপ থাকতে পারে না।
আহসান বলেন, ‘যেভাবে ধর্ষণের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, আপনি আমি আমাদের পরিবার কতটুকু নিরাপদ। এজন্য অনতিবিলম্বে ধর্ষকের যৌনাঙ্গ জনসম্মুখে কর্তনের আইন করে অবলা নারীদের রক্ষা করার আইন করার দাবি জানাচ্ছি।’
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন