কিশোরগঞ্জে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি উঠে পড়ায় জেলার তিনটি উপজেলায় একযোগে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
বুধবার (২৬ জুন) সকালে ইটনা উপজেলার এলেংজুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৩০)। তিনি এলেংজুরী ইউনিয়নের মনজিল মিয়ার ছেলে।
পরে প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ওই টাওয়ারের চূড়া থেকে আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করে ইটনা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।
এদিন দুপুরে ইটনা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আলমগীর হোসেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইটনা উপজেলার এলেংজুরী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আমরা খবরটি জানার সাথে সাথেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছি। প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। উদ্ধারের পর তাকে পরিবারের মাধ্যমে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’
মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি, সকালে সবার অজান্তে বাড়ির সামনের হাওর সাঁতরে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় উঠে পড়েন আলমগীর। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে জানালে তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে ইটনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়া থেকে নামিয়ে আনেন ইটনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনস্থ ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ২৩টিতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। ওই যুবককে উদ্ধারের প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।