প্রাক-বড়দিনের এক অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে শতাধিক শিশু-কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের উপজেলা চিকিৎসাকেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাবারজনিত কারণে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।তারা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এত শিশুকে একসঙ্গে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মরত চিকিৎসকরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আজ সোমবার উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের এজি চার্চে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় সংস্থাটির তালিকাভুক্ত ৩২০ শিশু-কিশোর উপস্থিত ছিল। দুপুরে তাদের খাবারে বিরিয়ানি দেওয়া দেওয়া হয়। এই খাবার খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা থেকেই হাসপাতালে শিশু-কিশোরদের নিয়ে আসতে শুরু করেন অভিভাবকরা। সবাইকে একই কারণে হাসপাতালে আনা হয়।তারা সবাই ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যায় ভুগছেন। এই রিপোর্ট লেখার সময় (রাত সাড়ে ৯টা) হাসপাতালে শতাধিক শিশু-কিশোর চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কুমার মৃদুল দাস।
ধারাবাশাইল গ্রামের বিপুল রায়ের স্ত্রী সাথী রায় বলেন, ‘আমার চার মেয়ে ইষ্টিলা, এঞ্জেলা, সৃষ্টি রায় ও পল্লবী রায় সকালে এজি চার্চের অনুষ্ঠানে যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওরা ওই প্রতিষ্ঠানের দেওয়া বিরিয়ানির প্যাকেট খাবার নিয়ে বাড়িতে আসে। ওই খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়।
অসুস্থ শিশুদের সবার চিকিৎসা ব্যয় কান্দি ইউনিয়ন এজি চার্চের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রজেক্ট ম্যানেজার রিপন কুন্দা। তিনি বলেন, আমাদের সংস্থার তালিকাভূক্ত ৩২০ জন শিশু-কিশোরকে নিয়ে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠান করি। তাদের স্থানীয় ধারাবাশাইল বাজারের গোবিন্দ বোস হোটেল থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয়। এই বিরিয়ানি খেয়ে প্রায় শতাধিক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে হোটেল ব্যবসায়ী গোবিন্দ বোসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কুমার মৃদুল দাস বলেন, ‘সন্ধ্যা থেকেই শিশুদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। রাত সাড়ে ৯টায় শতাধিক শিশু চিকিৎসাধীন। এখনো অসুস্থ শিশু-কিশোরদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।’