ঢাকার গাজীপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে মীরাক্কেলখ্যাত কৌতুক অভিনেতা মোঃ আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতের দিকে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
দগ্ধরা হলেন- কৌতুক অভিনেতা মোঃ আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন,পুলিশ কনস্টেবল মোঃ জিল্লুর রহমান, মোঃ ইমরান হোসেন ও মোঃ রুবেল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জিএমপির চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। প্রধান অতিথি পৌঁছানোর পর তাঁকে উদ্বোধনী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর হাতে ওড়ানোর জন্য কয়েকটি গ্যাস বেলুন দেওয়া হয়। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও বেলুনগুলো উড়ছিল না। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুনগুলো নিয়ে মঞ্চের পাশে চলে যান। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যান মূল মঞ্চে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে ডেকে বকাঝকা করলে বিক্রেতা নিজেই বেলুনগুলো ওড়ানোর চেষ্টা করেন।
তিনি বেলুনে আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পাশে বসে থাকা মীরাক্কেলখ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। পুলিশ সদস্যরা তাঁদের গায়ে পানি ঢেলে আগুন নেভান এবং দ্রুত তাঁদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা এস এম আইউব হোসেন জানান, গাজীপুর থেকে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ হয়ে দগ্ধ ৫ জন এসেছে। এদের মধ্যে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির শরীরে ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে ও কনস্টেবল মোঃ জিল্লুর রহমানের শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাকি তিনজনকে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মিলন জানান, ঢাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ হয়ে পুলিশ সহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছিল। আমরা প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।
পরে সেখান থেকে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। তাদের মধ্যে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি তিনজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।