আজ ভৈরবে গণটীকার প্রথম দিনে ৬ হাজার ৭ শত ৯২ জন নারী-পুরুষকে করোনার টীকা প্রদান করা হয়। করোনার সংক্রমণ রোধে সারা দেশের ন্যায় ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৮টি কেন্দ্রে এবং পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রসহ মোট ২০টি টীকাদান কেন্দ্রে ২৫ বছরের উপরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন সাইনোফার্ম টীকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন।
তবে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী নারী পুরুষকে সবার আগে টীকা নিতে প্রাধান্য দেয়া হয়। আজ ৭আগষ্ট, শনিবার প্রস্তুতিমূলক ভাবে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ টীকাদান কার্যক্রম চলে। করোনার টীকা নিতে বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৫ উর্ধ্ব বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই টীকার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার গণটীকা কেন্দ্র গুলোতে টীকাদান কর্মসূচি চলাকালীন সময় পরিদর্শনে ছিলেন করোনা প্রতিরোধ ও ভ্যাক্সিন কমিটির আহবায়ক ও ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা এবং কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: খুরশীদ আলম। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ রিয়াসাত আজীম, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ রুহুল আমীন উপস্থিত প্রমুখ।
এছাড়াও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীসহ আনসার ও জনপ্রতিনিধিরা টীকা কার্যক্রমে সহযোগিতা ও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: খুরশীদ আলম জানান, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে টীকা গ্রহণের জন্য আসা মানুষজনের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। আজকের এই টীকাদান কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন ছিলো শতভাগ।
প্রস্তুতিমূলক গণটীকা কার্যক্রমে ভৈরব উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৮ কেন্দ্রের প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি করে মোট ২৪টি বুথে ৪৩৯২ জন এবং পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রের ১২টি বুথে ২৪০০ জন নারী পুরুষ সাইনোফার্ম টীকা গ্রহণ করে বলে জানান তিনি।