ভৈরব প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি পৌরসভার সাবেক সচিব দৈনিক অবজারভারের সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল মতিন আজ ২০ মার্চ শনিবার ভোর ৫-৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন । ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন । আজ বাদ আসর সম্ভুপুর ঈদগাহ মাঠে ( আফসর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ) জানাজা শেষে সম্ভুপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের
পাশে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর এবং ৩ পুত্র ৪ কন্যা নাতি-নাতনী সহ অসংখ্য আত্নীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন । জানাজায় প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে।
সেখানে জানাজার আগে ভৈরব প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি ও টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাংবাদিক সহকর্মীরা মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । মরহুম আব্দুল মতিন ১৯৬৮ সনে ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন । এর পর তারা বাংলাদেশ অবজারভারের সাথে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দীর্ঘদিন ভৈরব প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, পত্রিকাটি বন্ধ হলে তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দৈনিক ফিনান্সসিয়াল এক্সপ্রেস তে সাংবাদিকতা করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি সত্তর দশকের শুরুতে ভৈরব পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন ।
পরবর্তীতে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন । তিনি ষাটের দশকে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন । তিনি ভৈরব প্রেসক্লাবে দুবার সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সুনামেরসহিত দায়িত্ব পালন করেন।এবং আজীবন সদস্যের মর্যাদা লাভ করেন ।
তিনি ২০০৫ সন থেকে ভৈরব আফছর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। মরহুম আব্দুলমতিন এর দীর্ঘ বর্ণাঢ্য জীবনের উপর একটি আত্মজীবনী প্রকাশের পথে। ভৈরবের এই প্রবীণ সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক সমাজ সহ ভৈরবের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে । এবং তাকে একনজর দেখার জন্য তার বাসভবনে ভিড় করে । মরহুম আব্দুল মতিন এর আদি নিবাস ইটনা উপজেলায়।
মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ পরিবার ভৈরব প্রেসক্লাব , সাংবাদিক সমিতি, টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন , রিপোর্টার্স ক্লাব ও ইউনিটি, ভৈরব অনলাইন নিউজ ক্লাব , আফছর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয সহ ভৈরবের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।