তিন বছর ধরে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার যুবক ইশান মাহমুদ শ্রাবণ (২১)। পরে নিজেরা আদালতের মাধ্যমে বিয়েও করেছিলেন। তবে পরিবার গরিব হওয়ায় সেই বিয়ে একমাসও স্থায়ী হয়নি। ১১ দিনের মাথায় তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করে প্রেম ও বিয়ে না করার শপথ নিয়েছেন ওই যুবক। শপথ গ্রহণ করেই তিনি এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছেন।
গত শুক্রবার দুপুরে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পড়াগলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রবিবার রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ইশানের পরিবার ও বন্ধুরা জানান, ঈশান মাহমুদের শ্রাবণ পড়াগলী এলাকায় নানাবাড়িতে ছোট থেকে বড় হয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পরে তিনি নান্দিনা শেখ আনোয়ার হোসেন কলেজে ভর্তি হন। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর জামালপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় তাদের নিজ বাড়িতে চলে যান।
সেসময় বাড়ির পাশে এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক চলে টানা তিন বছর। পরে গত ২৯ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় মেয়ের পরিবার শ্রাবণের বাড়িতে আসে। কিন্তু তারা আর্থিকভাবে গরিব হওয়ায় বিয়ের বিষয়টি মেনে নেয়নি মেয়েটির পরিবার।
বিয়ের ১১ দিন পরে গত ৮ নভেম্বর শ্রাবণকে ডিভোর্স দেন তার স্ত্রী। শ্রাবণ এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এর জেরে আবারও তিনি নানাবাড়ি পড়াগলী এলাকায় চলে আসেন। নানাবাড়িতে এসে তার বন্ধুদের নিয়ে গত শুক্রবার একটি স্কুল মাঠে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করে প্রেমে না জড়ানো এবং বিয়ে না করার শপথ নেন তিনি।
ইশান মাহমুদ বলেন, ‘বিয়ের মাত্র ১১ দিন পর তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। এই স্মৃতি নিয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চাই। নিজের ভুল শুধরে নিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি জীবনে আর প্রেম এবং বিয়ে করব না। একইসঙ্গে প্রাক্তন স্ত্রীকে ক্ষমা করে দিয়েছি। তার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।’