সালমা আক্তার (৩৫) ও জাহিদুল সম্পর্কে চাচাতো ভাইবোন। চার বছর প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা। তাদের পরিবারে আসে এক ছেলে ও দুই মেয়ে। এর পর স্বামী গোপনে অন্যত্র বিয়ে করেন। এর পরই তাদের সংসারে ভাটা পড়ে। স্বামীর সঙ্গে মনমালিন্যে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন সালমা। সোমবার ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার রাতে সালমার মা রাবেয়া বাদী হয়ে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে জামাই জাহিদুলকে আসামি করে মামলা করেন। এর পর রাতেই জাহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে গত রোববার গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার ৪২নং ওয়ার্ডের বিন্দান মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালমা একই এলাকার মৃত আজমত আলীর মেয়ে ও জাহিদুলের স্ত্রী।
জানা যায়, গোপনে স্বামীর আরেক বিয়ের পর তাদের সংসারে মনমালিন্য চলছিল। অন্যদিকে জমি বিক্রির টাকার গরমিলের কারণে স্বামী জাহিদুলের ওপর সালমা আক্তারের ক্ষোভ হয়। এর পর রোববার আত্মহত্যার পথ বেছে নেন গৃহবধূ সালমা আক্তার। নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সালমার বিধবা মা রাবেয়া বাদী হয়ে হত্যার প্ররোচনায় অভিযোগ এনে মেয়ের জামাই জাহিদুলকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এর পর রাতেই জাহিদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পূবাইল থানার ওসি মহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে স্বামীর বাড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে প্রতিবেশীরা টের পায়। এর পর গুরুতর অবস্থায় তাকে গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু সালমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢামেকে নেওয়ার আগে তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পর দিন সোমবার ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সালমার। ঘটনা জানাজানি হলে সালমার পরিবারের লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পূবাইল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।