জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে হানিফ পালোয়ান নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল বুধবার রাত ১০ টারদিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভার উপজেলা চত্বর কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
হানিফ পালোয়ান (১৬) উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের সাহের পালোয়ানের একমাত্র ছেলে এবং সরিষাবাড়ী রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, হানিফ পালোয়ানের মোটরসাইকেলের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ ছিল। পুরাতন একটি মোটরসাইকেল পরিবারের পক্ষ থেকে কিনেও দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তার শখ ছিলো নতুন একটি মোটরসাইকেল কেনার। পরিবার টাকাও জোগাড় করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু আবেগ সামলাতে না পেরে বুধবার রাত আনুমানিক ১০ টায় ফেইসবুক লাইভে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এর আগে হানিফ পালোয়ান ফেইসবুক পোস্টে লেখেন ‘আমার মরার জন্য কেউ দায়ী না, আমার একটা বাইক কিনার খুব ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু আমার মা-বাবা আমাকে বাইক কিনা দেয় নাই, তাই নিজের ইচ্ছায় এই দুনিয়া থাইকা চলে জাইতাছি, বেঁচে থাকলে বাইক নিয়া দেখা হবে গুডবাই বিডি।’
পরে তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হানিফ পালোয়ানের চাচা শাহীনুর রহমান বলেন, ‘ছেলেটি বাবা-মায়ের খুবই আদরের সন্তান ছিল। যখন যা আবদার করতো তাই পূরণ করার চেষ্টা করা হতো। কিন্তু মোটরসাইকেল যেহেতু অনেক টাকার ব্যাপার তাই টাকা জোগাড় করতে বিলম্ব হওয়ায় বাবা-মার সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করে। আমাদের কারও প্রতি কোন অভিযোগ নেই।’
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ রাজবংশ জানান, হানিফ পালোয়ান নামে ছেলেটিকে সাড়ে ১০ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার আত্মীয়স্বজন নিয়ে আসে। কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই ছেলেটির মৃত্যু হয়।
সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ উপ পরিদর্শক মুর্শেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।