ঢাকার নবাবগঞ্জে প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন এক প্রেমিকা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) নবাবগঞ্জ থানার এএসআই ইসমাইল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জের নতুন বান্দুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হলেন, নতুন বান্দুরা মো. রহিমের মেয়ে রাত্রী (১৮)। আটককৃত ব্যক্তি দোহার উপজেলার করিমগঞ্জের মো. সিরাজের ছেলে মো. শরীফ (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত্রী শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় নিজের গায়ে কেরাসিন ঢেলে আগুন দেয়। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আগুন নেভানোর আগেই দগ্ধ হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেন। এ সময় প্রেমিকাকে দেখতে এলে শরীফকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে প্রেমিক শরীফকে নিজেদের হেফাজতে নেন।
অভিযুক্ত শরীফ জানান, রাত্রীর সঙ্গে তার এক বছরের সম্পর্ক। রাত্রী শুক্রবার তাকে না জানিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল। এ নিয়ে তিনি রাত্রীর সঙ্গে রাগারাগি করেন। এতে অভিমান করে রাত্রী তার মোবাইলে কল দিয়ে জানান এখনই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করবে।
পরে মোবাইলে কথা বলতে বলতেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন রাত্রী৷ এ সময় তার চিৎকার শুনে আমি দোহার থেকে বান্দুরা চলে আসি। এসে দেখি রাত্রী আগুন দগ্ধ হয়ে গেছেন।
ভুক্তভোগীর ভাই আল আমিন জানান, রাত্রী ও শরীফের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক আছে। ঈদের পরই ওদের বিয়ে হওয়ার কথা চলছিল। কী কারণে বোন শরীরে আগুন দিল বুঝতে পারছি না।
শরীফের মা শরুফা বেগম জানান, ঈদের পরই ওদের দুজনের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় একসঙ্গে শরীফ আমার সঙ্গে ইফতার করেছে।কী নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে, আমরা বলতে পারি না। আমার ছেলে অন্যায় করলে তো আর খবর শুনে ছুটে আসতো না।
নবাবগঞ্জ থানার এএসআই ইসমাইল জানান, শুক্রবার এ ঘটনার পর প্রেমিক শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটক করা হয়েছে। ওসি স্যার ও ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।