মাদারীপুর সদর উপজেলার হোগলপাতিয়া ও পাশের কালকিনির আলীনগর ইউনিয়ের কয়েকটি গ্রামে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন শিশু বৃদ্ধাসহ ৬০ জন। এরপরেও আটক করা যায়নি কুকুরটিকে। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে কুকুরের কামড়ানোর ঘটনা। পরে সদর ও কালকিনি থানা পুলিশও কুকুরটি ধরতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার হোগলপাতিয়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে মারিয়া নামে একটি শিশু সকাল ৮টার দিকে বিদ্যালয় যাচ্ছিলো। এ সময় একটি পাগলা কুকুর শিশুকে কামড়িয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ক্ষিপ্ত হয়ে আরও বেশ কয়েকজনকে কামড়ায়।
এরপর পার্শ্ববর্তী আলীনগর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ, ফাঁসিয়াতলা গ্রামের অর্ধ শতাধিক মানুষকে কামড়িয়ে গুরুতর জখম করে। কুকুরের কামড়ে গুরুতর জখম ৪৩ জনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদের মধ্যে কয়েকজনের পায়ে বেশ ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আর কুকুরটিকে ধাওয়া দিলে ঘটনার পর থেকে আর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে সদর ও কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুকুরটি ধরার চেষ্টা করে।
হোগলপাতিয়া গ্রামের শামীম নামে এক কুকুরে কামড়ানো আহত রোগী জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি পাগলা কুকুর আমাকেসহ আশেপাশের আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে কামড়ায়। যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়িয়েছে। কামড় দিয়ে পায়ের মাংস ছিড়ে নিয়ে গেছে।
হাবিব নামে আরেক রোগী জানান, পাগলা কুকুরের সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়িয়েছে। কোনো ভাবেই তাকে ঠেকানো যায়নি। হোগলপাতিয়া ছাড়াও ফাসিয়াতলা, কালীগঞ্জ এলাকার প্রায় অর্ধশত মানুষ কামড়িয়েছে।
একটি কুকুরের কাছে আমরা অসহায় ছিলাম। তারপরে আর কুকুরটি পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে মানুষ ভরে গেছে কুকুরে কামড়ানোর রোগীতে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার রিয়াজ মাহমুদ জানান, কুকুরে কামড়ানো আহত অর্ধশত ব্যক্তি এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৪৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। কুকুরের কামড়ানোর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে সবাইকে।
পযাপ্ত ভ্যাকসিনও হাসপাতালে আছে। রোগীদের মধ্যে কয়েকটি শিশুর অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের প্রয়োজনের উন্নত চিকিৎসার জন্যে রেফার্ডও করা লাগতে পারে।