প্রথম রমজানে নারায়ণগঞ্জের বাজারে ইফতারে ব্যবহৃত সব সবজির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। প্রতি হালি লেবু ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুধু লেবু নয়, দাম বেড়েছে শসা, গাজর, পুদিনা ও ধনে পাতারও।
রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেলে শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের প্রতিটি লেবুর প্রতি পিস ২০-২৫ টাকা, ছোট সাইজের লেবু ১২-১৫ টাকা পিস এবং মাঝারি সাইজের প্রতিটি লেবুর দাম ১৬-১৮ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বড় সাইজের এক হালি লেবু কিনতে হলে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকা।
ইফতারের আরেক উপাদান শসার দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, যা সপ্তাহখানেক আগেও ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি। ধনেপাতা ২৫০ গ্রামের দাম ৩০ টাকা, ২০০ গ্রাম পুদিনা পাতার দাম ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা।
চড়া মাছ-মাংসের বাজারও। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি দরে। বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে খাসির মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, রমজান এলেই একটি সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে ওঠে। এমনিতেই নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি। তার ওপর ছোটখাট পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি নতুন করে ভাবনার কারণ। মানুষ এতটাই অসহায়, চাইলেও ভালোভাবে ইফতার করতে পারবে না। সরকারের উচিত বাজারে মনিটরিং বাড়ানো।
দিগুবাবুর বাজারের ক্রেতা ওসমান আলী বলেন, এটি নীরব দুর্ভিক্ষের মতো। এত দামে সাধারণ মানুষ কী কিনে খাবে? কোনো নজরদারি নেই! আমরা এখন পুরো অসহায়।
বিক্রেতারা বলছেন, আমরা ইচ্ছে করলেই দাম বাড়াতে পারি না। অতিরিক্ত দামে কিনে আনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি করি। আমাদের কিছু করার থাকে না।