মো. আবদুর মৌলু (৬০) পেশায় করাতকলের (স মিল) শ্রমিক। তাঁর দুই স্ত্রী, পাঁচ মেয়ে ও চার ছেলে নিয়ে সংসার। তবে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যে তিনি একজন ‘মৃত’ ব্যক্তি। ফলে করোনার টিকা নিতে পারেননি। বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারের দেওয়া নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে।
আবদুল মৌলুর বাড়ি নেত্রকোনার মদন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীরপুর এলাকায়। তাঁর বাবার নাম মো. দুলো মিয়া, মা জমশেদা খাতুন। আবদুলের জন্ম ১৯৬২ সালের ১৮ জুলাই। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৭২২৫৬০৮৭৩৬৭৮৮।
আবদুল মৌলু বলেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছিল না। তিনি ভোট না দিয়ে ফিরে আসেন। পরে তিনি তাঁর পরিচয়পত্র নিয়ে মদন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। তাঁকে জানানো হয়, তিনি ‘মৃত’। নিজেকে জীবিত প্রমাণ দিয়ে তিনি সংশোধনের জন্য গত জুলাই মাসে আবেদন করেন। কিন্তু বারবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় আমি করোনার টিকাসহ সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না।’
মদন পৌরসভার মেয়র মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আবদুল মৌলু একজন শ্রমজীবী মানুষ। তাঁকে আমি ভালো করে চিনি। তিনি জীবিত আছেন। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সংসার করছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। এটা জরুরি ভিত্তিতে সংশোধন দরকার।’
এ বিষয়ে মদন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হামিদ ইকবাল বলেন, আবদুল মৌলুর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরটি দিয়ে যাচাই করেছেন। তাঁকে মৃত দেখানো হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহের সময় ভুল হলে মূলত এ সমস্যা হয়ে থাকে। আবদুল মৌলুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আঙুলের ছাপে একটু সমস্যা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টির সমাধান হবে।