দেশের শীর্ষ পর্যায়ের জাতীয় সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই(নিসচা)’ধামরাই শাখার উদ্যোগে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মাসব্যাপী কার্যক্রমের ট্রাফিক সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ লা অক্টোবর হতে সপ্তাহব্যাপী ঢাকা আরিচা মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বাজারে টানা ৭ দিনের ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন নিসচা ধামরাই শাখার সদস্যরা।
১৯৯৩ সালের ২২ শে অক্টোবর চলচ্চিত্রের মহানায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রাণপ্রিয় স্ত্রী মরহুমা জাহানারা কাঞ্চন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সামাজিক আন্দোলনের ডাক দেন নিসচা’র প্রানপুরুষ ও স্বপ্নদ্রষ্টা ইলিয়াস কাঞ্চন। এ আন্দোলন আজ জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন জানেন এই আন্দোলনের বিনিময় তার প্রিয় স্ত্রী বা তার সন্তানদের মা আর ফিরে আসবে না।কিন্তু আর যেন কোন পরিবারের সদস্য সড়ক দুর্ঘটনার কবলে না পড়ে এই চেষ্টা করে যাচ্ছে দীর্ঘ ২৮ বছর। সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা রোধে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে এই সংগঠন।
দীর্ঘ আন্দোলনের ফল হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মরহুমা জাহানা কাঞ্চনের মৃত্যুর দিন ২২ শে অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করেন। তাই প্রতিবছর নিসচা’র দেশ বিদেশের সকল শাখা সংগঠন মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করে থাকেন।
তার ধারাবাহিকতায় নিরাপদ সড়ক চাই, ধামরাই উপজেলা শাখার মাসব্যাপী কার্যক্রমের ১ম ধাপের তালিকা ছিল ট্রাফিক সপ্তাহ পালন। ৭ দিন ব্যাপী এই কার্যক্রম শেষ করেছেন এই শাখার সদস্যরা। জানা গেছে,উপজেলার ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড,থানা বাস্ট্যান্ড,জয়পুরা বাসস্ট্যান্ড,কালামপুর বাসস্ট্যান্ড, আমতলা বাজার এলাকা,ধামরাই পৌর বাজার এলাকা, এবং কালামপুর বাজার এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
উক্ত বিষয়ে নিসচা’র ধামরাই শাখার সভাপতি মোঃনাহিদ মিয়া বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবের দিকনির্দেশনায় আমার শাখা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।ইতিমধ্যে ট্রাফিক সপ্তাহ পালনের মধ্যে দিয়ে ১ম ধাপের কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
আগামীকাল থেকে আবার শুরু হবে বিভিন্ন কার্যক্রম। আমরা চাই আমাদের উপজলার আওতাধীন যেন আর কোন সড়ক দুর্ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে আমরা সেচ্ছাসেবী সংগঠন হয়েও কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এ সমস্যা গুলো দীর্ঘদিনের তাই স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, গাড়ির মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে আমরা আমাদের কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব এটা আমরা প্রত্যাশা করি।