সাভারের ব্যাংক কলোনী থেকে ত্রাণের আশায় সাভার কলেজে এসেছিলেন প্রতিবন্ধী জহুরা বেগম। ত্রাণের কার্ড পেয়েই তিনি এসেছিলেন ওই আয়োজনে। সেখানে আসার পর তার মতো প্রতিবন্ধী আরও কয়েকজনকে ত্রাণের বস্তা দেয়া হয়। এরপর সামনের সারিতে নিয়ে ছবি তুলে ত্রাণের বস্তা আবারও ফেরত নিয়েছেন আয়োজকরা।
সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে সাভার কলেজ মাঠে ত্রাণ বিতরণের আয়োজন করে ঢাকা জেলা যুবলীগ। অনুষ্ঠানের শেষে ত্রাণ বিতরণের সময় এমন অভিযোগ তোলেন জহুরা বেগম ও জয়নালসহ আরও কয়েকজন।
কার্ড হাতে মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন জহুরা বেগম। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা পেছনে ছিলাম। যখন ত্রাণ দিবো, তখন আমরা প্রতিবন্ধী বলে আমাদের সবার সামনে ডাকলো। ত্রাণের বস্তা হাতে পাইলাম, ছবি তুইলা আবার ধাক্কা দিয়া নিয়া নিলো।
জয়নাল নামের আরেক প্রতিবন্ধী বলেন, আমাদের কার্ড দিছে মিজান। আমরা বসে আছিলাম পেছনে। পরে আমাদের ডেকে সামনে বসালো। বসিয়ে ত্রাণের বস্তা দিয়ে আবার নিয়ে নিছে৷ আমরা ১০ জনের মতো প্রতিবন্ধী ছিলাম। আমাগো ত্রাণের বস্তা দিয়ে সাংবাদিকরা ছবি তুলা শেষ হলে আবার ধাক্কায়া ধাক্কায়া ফালায় ত্রাণের বস্তা নিয়ে নিলো।
আরেক নারী প্রতিবন্ধী বলেন, আমাকেও মিজান কার্ড দিছিলো৷ কিন্তু ত্রাণ দেয় নাই। কয়লাম স্যার দিবেন না ত্রাণ? তারা কইলো ত্রাণ শেষ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে ত্রাণ বিতরণের আয়োজক ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এস মিজান বলেন, এক হাজার মানুষের উপহারের ব্যবস্থা করেছিলাম। কার্ডগুলো যাদের দেওয়া হয়েছে সবাই উপহার পেয়েছে। এর মধ্যে দুই-তিনজন নাকি উপহার পায়নি। এক হাজার মানুষের মধ্য দুই-তিনজন যদি না পায়, কী করবো বলেন? এরপরও আমার অফিসে কিছু বেশি ছিল, অনেকেই কার্ড পাইনি, তাদের দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, উপহার পাওয়ার পর কার্ড কেউ ছিঁড়ে ফেলেনি তাই সমস্যা হয়েছে। কিছু মানুষ উপহার নিয়ে আবার কার্ড আরেকজনকে দিয়েছে। তবে মানুষ যে কথা বলছে, আমরা এই কাজটি কোনো দিন করি না। আমি নিজেই মাঝে মাঝে উপহার দিয়ে থাকি। যদি কেউ বাকি থাকে, তাহলে আবার দেবো।