নারায়ণগঞ্জের চর সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় এমএল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এ সময় সৈয়দপুরের আলামিন নগরের ব্রিজের কাছে জাহাজের কাজ করছিলেন তাফসির আহমেদ মুন্না। চোখের সামনে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে যেতে দেখে মুন্না নিজে ট্রলার নিয়ে ৭ জনকে উদ্ধার করেন।
তাফসির বলেন, লঞ্চটি যখন ডুবে যাচ্ছিল তখন আমরা চিৎকার করছিলাম যাতে করে জাহাজের মাস্টার আমাদের দিকে তাকান এবং জাহাজটি থামানোর চেষ্টা করেন। তখন যদি জাহাজটি থামাতো তাহলে এতজনের মৃত্যু হতো না।
তিনি বলেন, আমি ট্রলার নিয়ে সাতজনকে উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আমি চেষ্টা করেছিলাম আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করার।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে লঞ্চে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা জানা যায়নি।
এদিকে লঞ্চে ধাক্কা দেওয়া এমভি রূপসী-৯ নামে জাহাজটি আটক করা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া হোসেন্দী সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে জাহাজটি আটক করে গজারিয়া কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশ।
লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিআইডব্লিউটিএ) আ ন ম বজলুর রশীদকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয় বলে মন্ত্রণালয়ে অফিস আদেশে বলা হয়েছে।
তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নটিক্যাল সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার ক্যাপ্টেন আবু সাইদ মো. দেলোয়ার রহমান, সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে।