ঢাকা আরিচা জাতীয় মহাসড়কের সাভারের আমিন বাজারের সালেহপুর ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর পাশে পুলিশের পাশা পাশি ট্রাফিক কার্যক্রম করেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ধামরাই কমিটির সদস্যরা।
বুধবার ১৩ ই জানুয়ারি সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত টানা ১১ দিন এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন নিসচার সদস্যরা।
সড়কে অনিয়ম,ভোগান্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে লড়াই করে আসছে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চলচিত্রের মহানায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এর ধারাবাহিকতায় জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে নিসচার কর্মীরা সড়কে দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে ও ভোগান্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে।
নিসচার কর্মীরা সড়কে নানা অনিয়ম, দুর্ঘটনা রোধে ,ভোগান্তির বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি পালনে সড়কে শৃঙ্খলায়নে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন। এমতাবস্থায় ঢাকা আরিচা মহসড়কের সাভারে আমিন বাজারের সালেহপুর ব্রীজটি যে কোন কারনবসত ঢাকাগামী পাশের অংশ ঢেবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন গাড়ি চালক ও চলাচলরত যাত্রীরা। উক্ত বিষয়ে সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের কল্যানপুর শাখা কর্তারা এক মুখি চলাচলের ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এতে দু পাশে সমন্বয় করে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থার জন্য পুলিশের পাশা পাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ধামরাই উপজেলা শাখার সদস্যদের সহযোগীতা চেয়ে সভাপতি বরাবর চিঠি প্রদান করেন।উক্ত কাজে নিসচার সদস্যরা টানা ১১ দিন সালেহপুর ক্ষতিগ্রস্থ সেতুতে ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এতে পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন ও সড়ক ও জনপদের কর্তারা ভূয়সী প্রশংসা করেন নিসচা’র কাজের জন্য।
এ বিষয়ে নিসচা ধামরাই শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাহিদ মিয়া জানান,আমরা স্বেচ্ছায় কাজ করি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লাভের এবং জনগণের সেবার জন্য। আমরা সবর্ত্র চেষ্টা করি সড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে কাজ করতে , ভোগান্তি দূর করতে এবং সরকারকে সহযোগীতা করতে। যেখানেই দুর্ঘটনা সেখানে নিসচার সড়ক যোদ্ধারা এগিয়ে আসে।
ঢাকা আরিচা মহাসড়ক জাতীয় মহাসড়কের মধ্য অন্যতম ।তাই এ সড়কে পশ্চিম-দক্ষিনাঞ্চলের যানবাহনের প্রচন্ড চাপ থাকায় সালেহপুর সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে,এমতাবস্থায় সরকারকে সহযোগীতা ও যাত্রীদের চলাচলের মধ্যে ভোগান্তি দূর করনে পুলিশের পাশে থেকে আমাদের কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করেছে। আমি, আমার নিসচা কর্মীদের প্রতি আন্তরিক ভাবে অনেক কৃতজ্ঞ। “স্যালুট প্রিয় সড়ক যোদ্ধাদের”।