English

19 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

আইনের বাইরে এ শহরে কিছুই করা যাবে না: আতিকুল

- Advertisements -

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, আইন এবং নীতিমালার বাইরে গিয়ে এ শহরে কিছু করা যাবে না।
তিনি আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় বনানী ১১ নম্বর সড়কে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, শপসাইন, প্রজেক্ট সাইন ইত্যাদি অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, যা কিছুই করেন না কেন, সিটি করপোরেশনের পারমিশন নিতে হবে। সব কিছুরই আইন আছে, নীতিমালা আছে। কিন্তু আমরা দেখছি, কেউ কোনো ধরনের আইন, নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে, যে যার মতো সাইনবোর্ড, শপসাইন, এলইডি সাইন লাগাচ্ছেন। অভিযানের সময় সবাই বলে, আমরা জানি না। কিন্তু আপনি যখন ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন, সেখানে সাইনবোর্ডের মাপও উল্লেখ করা হয়েছে। ৩ ফুট বাই ৪ ফুট সাইনবোর্ডের অনুমোদন নিয়ে যদি ৩০ ফুট বাই ৪০ ফুট সাইনবোর্ড তৈরি করেন, সেখানে যদি এলইডি লাইট লাগানো হয়, সেটা অবৈধ। এভাবে আইন অমান্য করে ঢাকা শহরে কেউ ব্যবসা করতে পারবেন না।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরাট একটি সাইনবোর্ড একটু আগে উঠিয়ে দিয়েছি। বাচ্চারা যখন জানবে, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে তারা কী শিক্ষা পাবে? এই যে ক্লিনিকটি অবৈধভাবে রাস্তার ওপর সাইনবোর্ড লাগিয়েছে, তারা কী চিকিৎসা দেবে?
তিনি বলেন, এভাবে সাইনবোর্ড লাগানোর ফলে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আকাশ দেখা যায় না। অবৈধভাবে সাইনবোর্ড যারা লাগান, তাঁরা নিজেদের অনেক ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করেন। ওনারা ব্যবসা করছেন, ওনারা পয়সা বানাচ্ছেন। তবে অবৈধ কোনো ধরনের সাইনবোর্ড শহরে থাকতে পারবে না।
মেয়র বলেন, অভিযান চলাকালে অনেকেই আমাকে ফোন করে অনুরোধ করছেন, অনেকে সময় চাইছেন। কেউ বলছেন, আমার সাইনবোর্ডটা ভাঙবেন না। কেউ কেউ আমাকে বলছে, আপনি তো ফোন রিসিভ করেন না, আমি সবাইকে বলতে চাই। যখন মোবাইল কোর্ট চলবে, উচ্ছেদ চলবে, আমাকে কেউ ফোন করবেন না। ফোন করলেও আমি ধরব না।
তিনি বলেন, এখন গুলশান, বনানী, প্রগতি সরণিতে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী মাসে ডিএনসিসির অন্য এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সব এলাকায় অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আজ অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় ৫০টি অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। পরে এসব বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড ৪০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রয় করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী উপস্থিত ছিলেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন