আসছে ২৭ নম্বেভর-২১ ইং শনিবার ফেনী সমিতি ঢাকার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন-২১। ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রহসনের নির্বাচন বয়কট ও বর্জনের ঘোষনা দিলেন,আলহাজ্ব গনি আহমেদ-অধ্যক্ষ ডাঃ বুলবুল পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে গনি আহমেদ বলেন,আমি ফেনী সমিতি’তে বিগত ১৮ বছরের ও বেশী সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে ফেনীবাসীর সেবা করেছি। আমাকে কয়েকবার উচ্চ মহল থেকে সভাপতি পদে দিতে চেয়ে ছিলো,কিন্তু আমি সকলের কথা চিন্তা করে সভাপতির পদ গ্রহন করিনি।এবারের নির্বাচনে সকলের সুপারিশ এর কারনে আমি নির্বাচন করবো বলে তাদের সাথে একমত পোষন করি।পরিবর্তি’তে ফেনীর ঢাকাতে ভালো অবস্থানে থাকা সুপরিচিত অধ্যক্ষ ডাঃ বুলবুল কে নিয়ে ৪৯ জনের একটি সুদক্ষ কর্মঠ প্যানেল গঠন করি।
কিন্তু বর্তমান কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের গঠনতন্ত্র বিরোধী অনৈতিক কার্যকলাপ দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে বর্তমান কমিটি নির্বাচনের নামে তামাশা করছে।ফেনী সমিতির বর্তমানে মোট ভোটারের সংখ্যা দশ হাজার একশ (১০১০০)। তারমধ্যে আমাদের প্যানেলের চৌত্রিশ (৩৪০০)ভোটারের মধ্যে এগার (১১০০)শত ভোটার যৌক্তিক কোনো কারন না দেখিয়ে অহেতুক বাতিল করে দিয়েছেন।আর তারা ঠিকানা মোবাইল নাম্বার বিহীন দেশের বিভিন্ন জেলার লোকদের সদস্য করে ভুয়া ভোটার তালিকা করেছেন বলে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন গনি আহমেদ-অধ্যক্ষ বুলবুল পরিষদ এর সভাপতি আলহাজ্ব গনি আহমেদ।
অন্যদিকে ডাঃ বুলবুল বলেন, ফেনী সমিতির নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি, পেশিশক্তির প্রয়োগ ও ভূয়া ভোটার করানো সহ অসংখ্য অনিয়মের মধ্য দিয়ে প্রহসনের নির্বাচনেরআয়োজন করা হয়েছে। এতো অনিয়মের মধ্য দিয়ে সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনও সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি ।তাই আমি সহ আমাদের প্যানেলের ৪৯ জন সদস্য আগামী ২৭ ডিসেম্বরের নির্বাচন বর্জন করলাম ।সাড়ে ছয় বছর ধরে দখলদারিত্বের মাধ্যমে সমিতিতে যে দুর্বত্তায়ন ঘটেছে তাকে তথাকথিত নির্বাচনের মোড়কে বৈধতা না দিতে তিনি ঢাকাস্হ ফেনীবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন।