ঢাকায় আজ থেকে শুরু হয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম। সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে শুরু হয় এই কার্যক্রম।
বিআরটিএর পক্ষ থেকে রাজধানীর ৯০০ শ্রমিকের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। উপস্থিতি কম হওয়ায় আজ টিকা দেয়া হবে ১০০ শ্রমিককে।
তবে অভিযোগ আছে আগে থেকে না জানায় পরিবহন শ্রমিকেরা দূরপাল্লায় গাড়ি পরিবহনে চলে যাওয়াতে প্রথম দিন টার্গেট প্রায় এক হাজার শ্রমিক ও চালকদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
আগামীকাল থেকে তেজগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাকিদের টিকা দেয়া হবে। শিগগিরই এই কর্মসূচি সারাদেশে শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কারো এনআইডি না থাকলেও জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি সরকার ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, গণপরিবহন ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেবাপ্রার্থীদের টিকা সনদ নিয়ে যেতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত গণপরিবহনের কত শতাংশ কর্মী টিকা নিয়েছেন, সেই পরিসংখ্যানই সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই। এ অবস্থায় এই খাতের যারা টিকা নেননি, তাদের অগ্রাধিকারের আওতায় এনে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার।
পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, শুধু চালক ও সহকারী নয় যাত্রীদের টিকা সনদ নিয়ে গাড়িতে চলাচল বাধ্যতামুলক করা উচিত।
এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও যাত্রীদের পাশাপাশি বাসচালক ও সহকারীদের বেশিরভাগ এখনো মাস্ক পরছেন না। অনেকেই মাস্ক নামিয়ে রেখেছেন থুতনিতে।
ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও অধিকাংশ বাসেই মানা হচ্ছে না। লোকাল বাসগুলোতে তুলনামূলক বেশি যাত্রী দেখা যায়। অনেক বাসে গাদাগাদি করেও যাত্রী নেয়া হয়। বাসে জীবাণুনাশক স্প্রে করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।
এছাড়াও করোনা সনদ নেই অধিকাংশ বাসকর্মীর। স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে দেখাচ্ছেন নানা অজুহাতও। শুধু বাস নয়, রাস্তার পাশের দোকানগুলোর ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতনতা দেখা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা না বাড়লে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।