আরিফুল ইসলাম: আসন্ন ঈদ-উল ফিতরে ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রাপথকে নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সার্বক্ষণিক পুলিশি নজরদারির দাবি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের ধামরাই উপজেলা শাখা।
এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা, হাসপাতালসহ প্রশাসনিক দপ্তরে পাঠিয়েছে সংগঠনটি।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নাহিদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি সংস্কারকাজ চলার কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশঙ্কাজনকভাবে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ঈদযাত্রায়ও এর প্রভাব পড়তে পারে। এ অবস্থায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনকে ভূমিকা রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এতে বলা হয়, সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সনাক্ত করে সংস্কার করা ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। মূল সড়কে যানজট এড়াতে কিছু আন্ত সড়ক ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে হবে। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করা যেতে পারে। ছিনতাই, ডাকাতি, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টি থেকে যাত্রীদের রক্ষায় জনসচেতনতামূলক মাইকিং করা যেতে পারে। এছাড়া অবৈধ পার্কিং ও তিনচাকার যান চলাচল ও উল্টোপথে পরিবহন চালানো থেকে মহাসড়ককে মুক্ত রাখতে হবে। একইসঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
সম্ভব্য কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনার কথা মাথায় রেখে ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া হাসপাতালও প্রস্তুত রাখার দাবি জানানো হয়েছে এ চিঠিতে।
এ বিষয়ে নিসচা ধামরাই শাখার সভাপতি এম.নাহিদ মিয়া বলেন, ঈদ আসলে খুবই চিন্তিত থাকতে হয়, কখন যেন সড়কে মৃত্যুর সংবাদ শুনতে হয়, সড়কে ভোগান্তির কথা শুনতে হয়। সড়কে চালকদের প্রতিযোগিতা তৈরী হয়,একাধিক টিপের আশায়। তাই পূর্বে থেকেই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে সংস্লিষ্ট দপ্তরে কিছু প্রস্তাবনাযুক্ত চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে ঈদ কে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও আমাদের কর্মীরা সড়কে দুর্ঘটনা রোধে এবং বিশৃঙ্খলা রোধে পুলিশের পাশাপাশি ট্রাফিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী। তিনি বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরাও তৎপর রয়েছি।