করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী। এরই মধ্যে স্ত্রী মারা যান। আক্রান্ত স্বামী বিছানায় পড়ে কাঁতরাচ্ছিলেন। কেউ নেই তাদের পাশে। তিন সন্তানই প্রবাসী। চাঁদপুর শহরের খান সড়ক এলাকায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুর রব খানের বাসায় ভাড়াটিয়া শাহ আলম ভূঁইয়া-শাহনাজ বেগম দম্পতি বসবাস করেন। তাদের দুই ছেলে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই এবং একমাত্র মেয়ে আমেরিকায় থাকেন। গত কয়েকজন দিন আগে শাহ আলম ভূঁইয়া (৬০) ও শাহনাজ বেগম (৫০) করেনায় আক্রান্ত হন। এমন পরিস্থিতিতে আশপাশের কাউকেই তারা নিজদের অসুস্থার কথা জানাননি। এর মধ্যে সোমবার সকাল ৯টায় মারা যান শাহনাজ বেগম। এসময় পাশের একজন ওই বাসায় কান্না শুনতে পান। পরে শাহ আলম নামে স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীকে ঘটনাটি জানানো হয়। তিনি তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে মুঠোফোনে কল করেন।
কয়েক মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ। এসময় করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধ শাহ আলম ভূঁইয়াকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল করোনা ইউনিটে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। অন্যদিকে, মৃত শাহনাজ বেগমের দাফন কাফনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে শুধু মানবিকতা বিবেচনায় নয়- দায়িত্ববোধ থেকেই করোনায় আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
এদিকে, চাঁদপুরে সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয়হাজার তিনশ জন। আর মারা গেছেন একশ ৩২ জন।