কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তিকে জীবিত দাবি করে হাসপাতালে হুলুস্থুল বাঁধিয়েছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনেরা।
রোববার (১৩ মার্চ) বিকালে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক মনির হোসেন (৩০) উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
মনাইরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মাফুজ সিকদার বলেন, সকালে নছিমনচালক মনির হোসেন তার চাচাতো ভাই শাখাওয়াত হোসেনের ঘর ভেঙে অন্যত্র নেওয়ার সময় বিদ্যুতায়িত হয়। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না, তাই নিহতের স্বজনেরা উত্তেজিত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, ‘সকাল আনুমানিক দশটায় বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন হাসপাতালে আসলে কর্মরত চিকিৎসক নওশিন আফরোজ তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।এরপর পুলিশকে খবর দিতে বললে,তাঁরা দ্রুত চলে যায়।
পরবর্তীতে আবারও নিহতের স্বজনেরা নিহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এসে দাবি করে রোগী মারা যায়নি এবং হইচই শুরু করে।তবে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে একই রিপোর্ট আসে। ঘটনাটি আমি ওসি সাহেবকে জানিয়েছি।’
জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সাহিক আহাম্মেদ বলেন,স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সরফরাজ হোসেন খান স্যার ঢাকাতে থাকায় দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সামসুউদ্দিন আহমেদ সুমন স্যার নিহতের স্বজনদের বুঝিয়ে বললে,তাঁরা লাশ নিয়ে চলে যায়।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন,‘উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে বলেছেন, হাসপাতালে একজন বিদ্যুতায়িত রোগী আসছে। তবে পরবর্তীতে কি হয়েছে,কেউ কিছু জানায়নি।’