৯১ বছর বয়সী বৃদ্ধা সামছুন নাহার বয়স্ক ভাতা নিতে গিয়ে জানলেন তিনি মৃত। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ভাতা পেলেও গত বছরের মার্চে আকস্মিক বন্ধ হয়ে যায় বৃদ্ধা সামছুন নাহারের এ ভাতা।
সম্প্রতি ভাতা বন্ধের কারণ জানতে তিনি তার ছেলেকে ইউনিয়ন পরিষদে পাঠালে জানতে পারেন ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মাসে মারা গেছেন তিনি।
সেজন্য বৃদ্ধা সামছুন নাহারের নাম কেটে দিয়ে অন্য একজনকে ভাতার কার্ড করে যুক্ত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সামছুন নাহার ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল খালেকের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী সামছুন নাহার আক্ষেপ করে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদে গেলে আমার ছেলেকে সবাই বলে আমি নাকি মারা গেছি। আমাকে ভাতা দেওয়া হবে না।
আমি জীবিত থাকার পরও আমাকে মৃত দেখিয়ে আরেকজনের নামে কীভাবে ভাতার টাকা পরিবর্তন করে দেয়! আমি গরিব মানুষ। আমি এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘আমি ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। বৃদ্ধা ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সম্ভবত তিনি লাইভ ভেরিফিকেশনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আসেননি তাই তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। আমি সাক্ষর করেছি এটা সত্য। তবে এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নয়। লাইভ ভ্যারিফিকেশনে না আসা সব ভাতাভোগীদের পরিষদের রেজুলেশনে ভাতা বন্ধ করা হয়।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছরুল্যাহ আল মাহমুদ জানান, প্যানেল চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্র ও পরিষদের রেজুলেশনের ভিত্তিতে জানতে পারি, তিনি ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ এ মৃত্যুবরণ করেন। তাই ভাতাটি বন্ধ করা হয়েছে। কোনো মানুষ মারা গেলে আমরা সকল কাগজপত্র দেখে অন্য একজনকে প্রতিস্থাপন করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান বলেন, এটি সংশোধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করি সামছুন নাহার দ্রুতই বয়স্ক ভাতা পাবেন। এ ছাড়া আমরা তদন্ত করছি কে বা কারা এটার সঙ্গে জড়িত। যদি তদন্তের পর কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।