পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে এক কলেজছাত্রীর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু হয়েছে। মৃত কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমা (১৯) জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বগাখালি এলাকার সাধন চাকমার মেয়ে বলে জানা গেছে। পূর্ণিমা রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, পূর্ণিমা চাকমা রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে পূর্ণিমা চাকমাকে চেতনাহীন অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান ভাড়া বাসার জমিদারসহ দুই নারী। হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে মৃত ঘোষণার পর হাসপাতালে নিয়ে আসা ব্যক্তিরা উধাও হয়ে যান।
এসময় ব্যক্তিগত কারণে হাসপাতালে উপস্থিত থাকা এই প্রতিবেদক বিষয়টি তাৎক্ষণিক কোতয়ালি থানা পুলিশকে অবহিত করেন এবং দেখতে পান মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ‘অজ্ঞাত’ পরিচয়ধারী দুই প্রবীণ নারী ও মুখে মাস্ক পড়া একজন প্রবীণ পুরুষ নিজেদের মধ্যে ‘বচসা’য় লিপ্ত হন। তারা প্রথমে চিকিৎসকদের মেয়েটি ‘হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে’ ফেলার কথা জানালেও পরে নিজেরাই সটকে পড়েন!
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর জানিয়েছেন, কলেজছাত্রীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ‘মৃতের ঘটনা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। সুরতহাল প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটিত হবে।
এদিকে মৃত পূর্ণিমা চাকমার সহপাঠীদের কয়েকজন জানিয়েছে, জুরাছড়ির মেয়ে হলেও পূর্ণিমা চাকমা পড়াশোনার সুবাধে রাঙামাটি জেলা শহরে বসবাস করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে সে নতুন করে বাসা বদলানোর কথা বলতেন। তবে কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিতে পারে এনিয়ে কেউ কিছুই জানাতে পারেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেয়েটির সহপাঠিরা বলছেন, মেয়েটির সঙ্গে ‘বড় কোনো অন্যায়’ করা হয়েছে। সে যে বাসায় ভাড়া থাকত সেই বাসার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এবং তার মোবাইল কল রেকর্ড চেক করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন