টানা দুই দিনের ছুটিতে দূর-দূরান্ত থেকে পাহাড়ে আসছে দেশি-বিদেশি পর্যটক। তাদের এমন সরব উপস্থিতি যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। শহর জুড়ে পর্যটকদের ঠাসা ভিড়। বইছে পর্যটক উৎসবের আমেজ। মুখরিত পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছে, কিছু দিন পর রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে। তাই শেষ মুহূর্তে পর্যটদের আনাগোনা বেড়েছে পাহাড়ে।
রাঙামাটির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন রাঙামাটি। এছাড়া শুক্রবার সপ্তাহের ছুটি আর পরদিন ২৬ মার্চ হওয়ায় ভিড়ও জমে উঠেছে। সবমিলে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে সবুজ অরণ্য ঘেরা পর্যটন নগর। অবকাশ কাটাতে হাজার হাজার আগত পর্যটকদের বাস, মাক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের বহর ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পিকনিক যাত্রীবাহী বাসগুলো ভিড়ে ঠাসা হয়ে আছে। যেন তিল পর্যন্ত জায়গা খালি নেই।
কক্সবাজার থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটক শিহাব জানান, রাঙামাটি সত্যি অসাধারণ। এখানে সব কিছুই স্বচ্ছ জলের মত। পাহাড় হ্রদ, আর প্রকৃতি সব মিলে অন্যরকম ভাল লাগা। পাহাড়ের গা ছুয়ে ঝড়ে পড়া ঝর্ণায় সত্যি মুগ্ধ। এখানে এসে যে কেউ প্রকৃতির প্রেমে পড়বে।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের নৌ যান ঘানের ম্যানেজার মো. রমজান আলী জানান, করোনার পর এ বছর রাঙামাটিতে উল্লেখযোগ্য পর্যটক আসছে। সারাদিন ব্যস্ত থাকে নৌ যান ঘাটের বোর্ট চালকরা। কারণ পর্যটন এসে কেউ হ্রদ ভ্রমণ না করে থাকতে পারে না। সবাই কাপ্তাই হ্রদের প্রেমে পড়ে যায়। এ ছাড়া চালকদেরও ভাল আয় বেড়েছে। এভাবে পর্যটক আসা অব্যাহত থাকলে নৌ শ্রমিকরা আর অভাবে থাকবে না।
রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সর ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটছে পর্যটন কমপ্লেক্সে। এতে পর্যটন খাতে রাজস্ব আয়ও বেড়ছে। বর্তমানে গড় আয় দৈনিক ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত পর্যটন মোটেলের কটেজ পুরোপুরি বুকিং রয়েছে। রমজান অর্থাৎ রোজার আগ পর্যন্ত থাকবে পর্যটক।