English

17 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৯, ২০২৫
- Advertisement -

চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

- Advertisements -

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার দক্ষিণ ধর্মপুরে মগদেশ্বরী মন্দিরে গরুর হাড় ফেলা, রাঙামাটিতে হিন্দুদের দোকানের সামনে গরুর রক্ত ছিটানো সহ সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী হিন্দু নির্যাতন, হিন্দুদের জমিদখল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ব সনাতন ঐক্য নামক হিন্দু সংগঠন।
৩ আগস্ট ২০২০ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বিশ্ব সনাতন ঐক্যেও উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়। ৭ দিনের মধ্যে সাতকানিয়া ও রাঙামাটির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনলে জেলা পুলিশ সুপার ও সাতকানিয়া থানা ঘেরাও এর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব সনাতন ঐক্যের সমন্বয়ক বিপ্লব পার্থ।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস।
ছাত্রনেতা স্বর্ণেন্দু বিকাশ ধর ও অভি রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বাসু দেব, জাতীয়তবাদী হিন্দু ফোরামের সভাপতি রাজীব ধর তমাল, সনাতন ঐক্যের সৈকত শুভ, সৌরভ প্রিয় পাল, ছাত্রলীগ নেতা ও শারদাঞ্জলি ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক লিপ্টন দেবনাথ, জাগো হিন্দু পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি রুবেল কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক টিটু শীল,সনাতন ঐক্যের তম্ময় দাশ, কোজাগরি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরাজ নাথ, সাতকানিয়া বিশ্ব সনাতন ঐক্যেও আহ্বায়ক সপ্তর্ষি কিশোর, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিষদের নেতা বিকাশ নাথ, কোতোয়ালি পূজা উদযাপন পরিষদের ইমন চৌধুরী, বিশ্ব সনাতন ঐক্যের সৌরভ পালসহ অন্যান্যরা। মানববন্ধনে জাগো হিন্দু পরিষদ, হিন্দু পরিষদ, কোজাগারি পূজা উদযাপন পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। একটি গোষ্ঠী সব সময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটাচ্ছে। তা কেউ কামনা করে না। তাই হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লব পার্থ বলেন, বিহারহীনতার সংস্কৃতির কারণে হিন্দু নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না।প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। কিন্তু কেন নির্যাতিত হচ্ছে, এর পেছনে কি কারণ তা খুঁজে বেরা করা উচিত। এভাবে চলতে থাকলে একদিন বাংলাদেশ হিন্দুশূন্য হয়ে যাবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা না থাকলে এক সময় সংখ্যালঘুরা বিলুপ্ত হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিন্দুদেরকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়, উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। যা খবুই দুঃখজনক। প্রত্যেকটি সরকারের সময় হিন্দুদেরকে বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন করা হয়। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হিন্দুদেও জমি দখল করা হয়, তাদেরকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। এসব বিষয়ের মূল কারণ বের করে তা সমাধান না করলে বাংলাদেশ মৌলবাদিদের দখলে যেতে বেশিদিন লাগবে না।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন