চট্টগ্রাম নগরের মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড এলাকায় দুটি ভবন ও একটি মন্দির হেলে পড়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করার সময় সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভবনগুলো হেলে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সদরঘাট থানাধীন মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড এলাকায় রাতে একটি তিনতলা ভবন হেলে পড়ে। পাশাপাশি আরও একটি মন্দির এবং একটি একতলা ঘরে ফাটল দেখা দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করে সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক এসআই রনি তালুকদার বলেন, রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। দেখতে পাই একটি তিনতলা ভবন এক থেকে দেড় ফুট হেলে গিয়ে একটি একতলা মন্দিরের ওপর লেগেছে। এতে ওই মন্দিরে ফাটল দেখা দেয়। এরই পাশে আরেকটি একতলা ভবনেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, গোলজার খালের পাড়ে ভবনগুলোর অবস্থান।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি তিনতলা ভবন উত্তর দিকে হেলে গেছে। এর পাশে আরও দুটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত।’
তিনি বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে আমাদের কন্ট্রোলরুমে এক সাংবাদিক ভাই ফোন করে ঘটনাটি জানান। সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তিনতলা ভবনটির ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে যেতে বলি। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ভবনটি ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতাধীন গুলজার খাল ১০ থেকে ৩০ ফিট খননের কারণেই ভবনটি হেলে পড়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, পর্বত ফকিরপাড়া এলাকায় শঙ্কর ড্রাইভারের মালিকানাধীন এই তিনতলা ভবনটি। গুলজার খাল খনন করা হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফিট। এই খনন চলাকালেই সময়ে উত্তরদিকে ভবনটি ঢলে পড়ে। ভবনটিতে অন্তত ৬০টি পরিবার বসবাস করে।
হেলে পড়া ওই ভবনটির পাশে বাবুলের বিষ্ণু মন্দির আর অন্যটি মন মন্দির। আর ভবনটি লাগোয়া রয়েছে শ্যামল জমিদারের কাঁচা-পাকা বসতঘর। সেখানে ভাড়াটিয়া রয়েছে ২০ থেকে ২২ জন।
বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর, জেলা প্রশাসক ও ফায়ার সারভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলে জানান ফারুক হোসেন সিকদার।